পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চা পাতা।। ৫৫

ছবি
স ম্পা দ কী য়     দূরে থাকুন । দূরে থেকেও সবচেয়ে কাছের মানুষ হওয়া যায়।    বসন্তের সব উচ্ছাস মুছে যাচ্ছে অসহায়তায়।  কোকিলের গান সাইরেনের মতো বেজে কোথাও কোথাও।       সুবীর সরকার সুগন্ধ মরা আলো । সুগন্ধের স্মৃতি ফিরে এল। মহাসড়ক কে পাশ কাটালেই                                      শূন্যতা মাঠে মাঠে বিছিয়ে রাখা দুপুর। তুমি নুপূর খুলছো আর ঢুকে পড়ছো                                      লেবুক্ষেতের হাওয়ায় মৌমিতা পাল মনাস্ট্রি কলিং - ১১  পাহাড়ের ওপর আগুন পেয়েছিল পথিক! পুড়ে ছাড়খার স্মৃতির রাস্তা, মার্জনা চাইছিল নিঃশ্বাস  সন্ধেতে ভেসে আসছিল যেসব সুঘ্রাণ  সেসবই প্রত্যাখ্যান করছিল ন্যাকা বিরহ ধৈর্য ধৈর্য বলে বেছে নিয়েছিল দিলখুশ ফক্কা ডঃ সাহেব , বাঁচালে বাঁচিয়ে নিস চোখের জল গিলে নিয়েছিল বলেই 'ভালো নেই ' এটুকু বলতে শেখেনি কবি। ভালো যে ছিল সে থাক মনে হবে কবি আর পথিকের         কখনো কোন ভাব ছিল না মনে হবে    পথিক একমাত্র আগুনেরই মন কাড়তে চায় মনে হবে           না থাক , কিছু মনে না হওয়াই ভালো। কী যন্ত্রণা জানতে চাস না ডঃ সাহেব কা

আত্মজীবনী। কবি সুবীর সরকার

ছবি
১৫. আমাদের জীবনের ভেতর কি অসম্ভব এক মায়া!মায়ায় জড়ানো যাপন! কোন এক লোকমেলায় আমি দেখি শরীরে নাচ নিয়ে কন্ঠে গান নিয়ে হাতিডোবার নদীবাঁকে গানের পর গান।নাচের পর নাচ নেমে আসছে_ ‘গাও হেলানি দিয়া নাচ রে গোলাপী গোলাপীর পিন্ধনের শাড়ি গোলাপীকে দিমু না গোলাপীর হাতের খাড়ু গোলাপীকে দিমু না কমর হেলানি দিয়া নাচ রে গোলাপী’ এই যে,এত এত দেখা আর মানুষের প্রতিদিনের বেঁচে থাকা; বেঁচেবর্তে থাকাটা আমাকে বিষ্মিত করে ! মানুষ বেঁচে থাকে কেন ! এই সংশয় আমাকে তাড়িত করে।প্রতিটি দেখা থেকে আমি নুতন করে অনুবাদ করে ফেলি আরো নুতন নুতন দেখাকে। জীবনের স্বাদ নিতে থাকি ক্লান্তিহীনভাবেই। একটা ঝুঁকে পড়া শীতকালের জন্য আমার মায়া ছিল।আমি তো জানিই যে হাটে কমলালেবু বিক্রি হয় সেই হাতে ঢেকিশাক বিক্রি হতে পারেই না । খেলনা বন্দুক দিয়ে আমি তো আর শিকারে যেতে পারি না।শহরে আবার ফিরে আসতে দেখি সেই সব পুরোন যাত্রা।সেখানে লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলতে দেখি পার্ট ভুলে যাওয়া নায়ককে।  একইসঙ্গে বাদাম ও খুচরো পয়সা রাখি পকেটে। মেলা থেকে ফিরেই ফুটো করে দেই সমস্ত বেলুন। মৃত্যু আমার প্রতিপক্ষ নয়।স্বজনের জন্য আমার শোক খুব সাময়িক।হিজল একটি গ

ধারাবাহিক আত্মজীবনী।। কবি সুবীর সরকার

ছবি
১৩. কত রকমের লেখাই তো লিখে গেলাম জনমভর।প্রায় ৩৪ বছর ধরে। ফিচার, গদ্য, বুলেটিন, ডায়েরি। কিন্তু যাই লিখি না কেন, যাই লিখে গেলাম সবকিছু পেরিয়ে আজ এটাই বুঝি আদতে আমি জনমভর কেবল কবিতাই লিখে গেলাম। একটি দীর্ঘ কবিতাই লিখে চলেছি যা আজও শেষ হয়নি। আচ্ছা, সত্যি এমন কোন সংশয় কি জাগেনি কিংবা এমন কোন প্রশ্ন তৈরি হয়নি কি, সেইসকল প্রশ্ন কি তাড়া করে বেড়ায় নি আমাকে; যে কেন কবিতা লিখি!কেনই বা কবিতা লিখবার এক জীবন কুয়াশার সফেন সমুদ্রে ডুবিয়ে মারলো আমাকে! কেন কবিতা লিখি তার কোন সোজাসাপটা জবাব নেই।আমি অন্তত খুঁজে পাইনি। পাইনা। এটাই বুঝি, মানুষ যেভাবে গল্পের পাকে পাকে জড়িয়ে যায় ঠিক সেভাবেই আমাকে জড়িয়ে যেতে হয়েছে কবিতার তীব্র এক পাকে পাকে। অভিশপ্ত আমি । এই জীবনে আর কবিতা থেকে পরিত্রাণ নেই আমার।এই নিয়তি আমি মেনেও নিয়েছি।আমার তুমুল আনন্দ হয়েছে এই কবিতার যাপনের জন্য।মরণঅবধি তাই কবিতাই তো লিখে যাবো।এটা চিরসত্যের মতো, না ফুরোন লোকসংগীতের মতো।অমোঘ। চিরন্তন। ১৪. কি লিখি কবিতায় ! কেন লিখি কবিতা!আসলে তো আমি কবিতায় জন্ম লিখি, জন্মান্তর লিখি। আমি যে জীবন দেখি, যে জীবন যাপন করি,আমার সব ও সমস্ত দেখাগুলিকে আম

চা পাতা।। ৫৪

ছবি
      স  ম্পা  দ  কী  য়      মানুষ এখনও অসহায়। বিজ্ঞানের এত জয়যাত্রার মাঝেও মানুষ কোথাও কোথাও থমকে দাঁড়িয়ে পরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরো একটা বিষয় আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, একটা মানুষ একটা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ও জগতের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ! একটা বিশাল সংখ্যক মানুষকে একটা নির্দিষ্ট আকারের স্থানে ধরে রাখার যে ব্যবস্থা সেটাই রাষ্ট্র। একজন ব্যক্তির জীবন বিপন্ন হলে রাষ্ট্রব্যবস্থাও যে বিপন্ন হয় তা এখন ভাবতে হচ্ছে। এই বিষয়টি আমরা আর কখনোই তো ভাবি না, রেলস্টেশনে শুধুমাত্র একটা ময়লা চাদর নিয়ে শুয়ে থাকা মানুষকে নাক সিঁটকে পেড়িয়ে গিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ করছি। আইনের বইয়ে সংযোজন চলছে নতুন থেকে নতুনতর অধ্যায়।  মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়   শেষ পূর্ণচ্ছেদ   তোমার বইয়ের পাতায় চোখ রাখলে - তুমি পাঠ করে যাও আমি শুনি আর পৃষ্ঠা হতে থাকি  বর্ণ আর ঘুম মুছে যায়...  জানতে চাও  " আর কত মুছবি? "  " মোছা যাচ্ছে? " মাথাটা ঝিম  ঝিম  করে  বুঝি সম্পূর্ণ রক্তশূন্য  হয়েছি   লিখে যাচ্ছো ... লেখার ভেতর  থেকে  আরেকটা  লেখার জন্ম দিচ্ছো শুনি,  যে শোনায় মু

চা পাতা।। ৫৩

ছবি
  স  ম্পা  দ  কী  য়       তরুণতম কবিদের লেখায় সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি চা পাতা'র এ সপ্তাহের সংখ্যাটি। তরুণ কবি শব্দটি বড্ড আদরের। আশা-ভরসা, ভবিষ্যত সব এরাই। তবু সদ্য লিখতে আসা সবাইকে তরুণ কবি শব্দটি দ্বারা অভিবাদন করা হয়ত উচিত নয়। যে কবি অগ্রজের কথা শুনবে কিন্তু মাথা বিকোবে না, যে কবি বিশেষ কবিতা উৎসবে যোগদানের মোহে এর ওর পেছনে ঘুরঘুর করবে না, যে কবি সত্য বলতে পিছপা হবে না সেই তো তরুণ কবি।       লবি শব্দটির ব্যবহার লেখালেখির জগতের বাইরে খুব একটা শোনা যায় না। তরুণ বন্ধুরা লবি হইতে দূরত্ব বজায় রাখুন। সবার সাথেই মিশবেন কিন্তু মিইশ্যা না যাওয়াই ভালো।    আমাদের অনেক বদনাম আমরা নাকি পড়াশুনা করি না। প্রতিদিন পাঁচ পাতা করে পড়ব । অনেকটা জীবন বাকি আছে, অনেক পড়া হয়ে যাবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়েই এই প্রজন্ম লিখতে এসেছে। চলুন লিখি ব্যকরণ ভেঙে আবার গড়ি।                                          মেহবুব গায়েন সারাংশ পাতা মৃত্যু যদি কেঁদে ওঠে  জন্মের আগে মুখ টিপে রাখো শব্দ বীজ ফেটে কলা যোগ -বিয়োগ এলে সারাংশ পাতা জুড়ে ফুটে ওঠে চাঁদ- বিথী  গোপন মূলস্রোতে ছুটে আস

ধারাবাহিক আত্মজীবনী

ছবি
১১. এক হয়ে যাওয়াটা আসলে ম্যাজিকের মত।বুকের ভেতর বল্লম গেঁথে দেয় কতজন।কত কুৎসা বেলুনে ভরে আকাশে উড়িয়ে দেয় কত তথাকথিত স্বজন।যাকে বা যাদের খুব বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরেছিলাম তারা আমাকে কান্না উপহার দেয়।কষ্ট উপহার দেয়।উদ্বেগ উপহার দেয়।সমস্ত কবিতা জীবন কেবল অভিশাপ বহন করেছি আমি।দন্ডিত হয়েছি বারবার।কি আর করার।সমস্ত জীবন কেবল লড়াই আর লড়াই।খুব বুঝি খারাপ একজন মানুষ আমি!কিছুই পারি নি জানি।কেবল ভাঙা হাটের লণ্ঠন হয়ে একটা স্বপ্নের যৌথতায় আশ্রয় চেয়েছিলাম।বিগত এক মাস আমার জীবনে কোন শুশ্রূষা নেই।বাদ্য ও বাজনা নেই।খুব একা আমি।কিন্তু লড়াই জানি।ভাঙা ঘরবাড়ি দ্রুত সারিয়ে নিতেও জানি।সামলে নেব সব আমি।আবার রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে আমার।ভাঙা শরীরে গান গাইবে বাংলার শালিক পাখি।আমি আর শৌভিক চলে যাবো ডুয়ার্সের জঙ্গলে।বড় কষ্ট এই জীবনে।এত একা হয়ে গেলাম কেন! ১২. ৫০-এ পা দিয়ে আমি উপহার পেলাম উচ্চ রক্তচাপ।নানারকমের উদ্বেগ আর ফোবিয়া আমাকে ঘিরে রেখেছিল।কাউকে মন খুলে বলতেও পারছিলাম না।নিঃসঙ্গতার ভয়,অসুখবিসুখের ভয়,মৃত্যুচিন্তা,সম্পর্ক ভেঙে যাবার ভয়,একা হয়ে যাবার ভয়।কবিতা লিখতে পারছিলাম না।এর মধ্যে আমার সবচেয়ে কাছের
ছবি
আমার কবিতাজীবন : নদীর জলে কান্না মিশে যাওয়ার এক জীবন    ৯. তখন নবম শ্রেণীর ছাত্র।রোগাপাতলা আমি একটা ভাঙা সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াই শহর,শহরপ্রান্ত,গঞ্জে।কাঁধের ঝোলায় জীবনানন্দ,ভাষ্কর, আল মাহমুদ,শামসের আনোয়ার,অরুনেশ থরে থরে সাজানো।খোলা মাঠে,সোনালি হেমন্তের রূপমায়ার ভেতর আমার সাইকেল ঢুকে পড়ে।আমি নরম রোদে বসে কবিতার বই পড়ে ফেলতে থাকি।জীবনানন্দের বোধ এক ঘোর বিছিয়ে দেয়।অন্তহীন এক স্বপ্নের বুদবুদ আমার দিকে ধেয়ে আসতে থাকে।আমি কবিতার কাছ থেকে উপহার পাই এক অভিশপ্ত ও ভুতগ্রস্থ  জীবন।এরপর কিছুটা সময় পেরিয়ে শুরু করি বিশ্ব কবিতায় বিচরণ।নিজেও লিখতে শুরু করি।জেলায় জেলায় নুতন বন্ধুদের সাথে শুরু হয় চিঠির পর চিঠির আড্ডা।কত স্বপ্নের কথা জুড়ে থাকতো সেই সব চিঠিপত্র জুড়ে।এভাবেই নিজেকে নির্মাণ আর বিনির্মাণের টানেল ঢুকিয়ে দিতে থাকি। ১০. চারপাশের সমস্ত অসুখ,সমস্ত অস্থিরতা,সমস্ত কালো সবসময় আমাকে নাড়া দেয়,নাড়িয়ে দেয়। বিচলিত করে তোলে। সে 1986 কিংবা 2020 হোক। মানুষের অসহায়তা,বিপন্নতা,দেশকালের যাবতীয় কালো কেমন অসহায় করে তোলে। কিন্তু কি আর করতে পারি আমরা। বড় ক্ষুদ্র আমরা। শক্তিহীন। কলম ছাড়া আর তো কোন সম্বল