পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
চা পাতা সাপ্তাহিক  ।।  সম্পাদক - তাপস দাস   স ম্পা দ কী য় এই মাটিতে এই বাতাসে কবিতার মাদক মিশে আছে।  প্রত্যন্ত গ্রামে, প্রান্তিক শহরে লুকিয়ে লুকিয়ে লিখে ফেলছে  ভয়ঙ্কর ভালো ভালো কবিতা। তাদের খোঁজার কাজটি খুবই কঠিন। তাদের নষ্ট করে দেবার জন্য বিচিত্র জগৎ চারিদিকে সাজানো গোছানো।  প্রতারণার ফাঁদ, চাটুকার প্রকাশক, সস্তা জনপ্রিয়তা ও প্রতিযোগিতার ফেসবুক গ্রুপ, সাপ্তাহিক সেরা ঘোষণাকারী কিছু গ্রুপ এদেরকে নষ্ট করার জন্য যেন উঠে পড়ে লেগে আছে। উপযুক্ত অগ্রজের খুব অভাব আজকাল।  আমাদের অগ্রজেরা যেমন অগ্রজদের পেয়েছেন,  বর্তমান দশকের লেখকেরা কি পাচ্ছে! পেলেও কয়েকজন মাত্র।  তবে সব অগ্রজের কথাও গ্রহণ করতে নেই। লিখতে এসছি লিখব, কাদায় থেকেও কাদা না লাগিয়ে লিখে যাওয়াই হয়তো আমাদের কাজ।  বাকিটা নাহয় সময় বলবে.... ********* কবিতা *********     যতিহীন যাত্রায় অপাঠ্য কবিতা     স্মৃ তি জি ৎ বুঝতে পারি, সেই অর্থে আমার কোনো গন্তব্য নেই এক একটা ল্যান্ডিং পেতে একাদশ পর্ব ঘাম ঝরাতে হয় প্রতিটি জোড় ল্যান্ডিং এর সাথে জুড়ে থাকে কিছুটা স্থিতবাস আর বাকি সবটাই পরবাস বুঝতে পারি, শেষপর্যন্

দোতারা।। ৪র্থ পর্ব

ছবি
'শ্যাম কালা ওরে শ্যাম কালা ছাড়িয়া দে মোর শাড়ির আঞ্চল যায় বেলা' কিংবা- 'আস্তে বোলান গাড়ি  রে গাড়িয়াল ধীরে বোলান গাড়ি আরেক নজর দেখিয়া নেও দয়ার বাপর বাড়ি রে গাড়িয়াল' উত্তরের এই সব লোকগানের সুর,শিল্পীর গায়নভঙ্গি,লোকবাদ্য সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক ম্যাজিক ছড়িয়ে দেয়।শ্রোতার সমস্ত শরীরে গান তার সমস্ত সুরসমেত ঢুকে পড়তে থাকে। এই হলো আমাদের লোকগান।আমাদের অহংকার। লোকশিল্পীরা বহন করে চলেছেন এই লোকগানের ধারা। আজ বলবো পারভীন সুলতানার কথা।প্রায় 25 বছর ধরে পারভীনের গান শুনে আসছি।মুগ্ধ হয়েছি বারবার।দেখেছি সংগীতে কি প্রখর ডুবে যান,নিমজ্জিত হন পারভীন।নিজেকে সৎ ও পরিশ্রমী নিরীক্ষায় লিপ্ত রেখে আজ পারভীন সুলতানা নিজেই একটি স্বতন্ত্র উচ্চারণ। দিনহাটার মেয়ে পারভীন সুলতানা এখন কলকাতায় থাকেন।প্রায় প্রায়ই চলে আসেন উত্তরাঞ্চল তার গানের ডালি নিয়ে। বাড়িতে গানের পরিবেশ বাল্য থেকেই তাকে লোকসংগীতচর্চায় আগ্রহী করেছিল। বাবার কাছে শিখেছেন গান। বোন রুনা লায়লাও ভালো লোকগান গাইতেন। কীর্তন ও ভক্তিগীতি গেয়েও পারভীন সুলতানা সুনাম অর্জন করেছেন। বেতার ও দুরদর্শনে নিয়মিত ভাওয়াইয়া পরিবেশন করেন তিনি।

রবিবার কবিবার

ছবি
২৫ আগষ্ট ২০১৯                               রবিবার - ১৬ নমস্কার উজানদা চা পাতা'র রবিবার কবিবার সাক্ষাৎকারে আপনাকে স্বাগত জানাই। প্রশ্ন - আপনার কাছেই প্রথমেই জানতে চাইব কিভাবে লিখতে এলেন আর কবে থেকে লিখছেন? উত্তর  - ছোটবেলায় ওই ধরো, সিক্স বা সেভেন- বৃষ্টির দিনে ভিজে ভিজে স্কুল যেতে যেতে ভাবতাম, পাখিদের বাসায় জল- দেখতাম বানভাসি মানুষের চোখ শুকিয়ে যাচ্ছে, বাবাকে দেখতাম মানুষের পাশে- অপু দূর্গা শরতের কাশ প্রাইমারি স্কুলের বন্ধু দিদিমণি বন্ধু সীতাংশু আচমকা নিখোঁজ হওয়া - পড়ার খাতার পিছনে হিজিবিজি লিখতাম। স্কুলের ইংরেজি ও বাংলা স্যরদের সাথে বিজ্ঞানের স্যরদের আমাকে নিয়ে টানাপোড়েন। লিখতাম, অঙ্ক করতাম, সমীকরণ সাজাতাম - কল্পনায় আঁকি বুকি কৈশোরের খেলার মাঠ। এভাবেই শুরু। তারপর ফিজিক্স পড়া, প্রেসিডেন্সি, থিয়েটার, শর্ট ফিল্মের কোর্স আর জীবনানন্দ শক্তি  বিনয় জয় বোদলেয়ার - কবিতা লিখতে শুরু করা সিরিয়াসলি এবং কবিতা ঈশ্বরীর খুঁজে পাওয়া শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে। প্রশ্ন -  আপনার অনুপ্রেরণা কারা? কোন কোন অগ্রজ কবিকে পাশে পেয়েছেন লিখতে এসে? উত্তর  - জীবনানন্দ বিনয় শক্তি

দোতারা।। ৩য় পর্ব

ছবি
                      সদ্য প্রয়াত সাইটোল রাণী ফুলতী গীদালীঃ উত্তরের লোকজীবনের আয়না সুবীর সরকার মাইল মাইল হলুদবরণ সরিসার খেত চারদিকে।এক বেটেখটো বৃদ্ধা ঘুরে ঘুরে নাচছেন,ঢাক ও ঢাকির শরীরের দুলুনির সঙ্গে আর মৃদু সুরে গাইছেন_ ‘দুঃখ কপালের লেখা,মৃত্যু লেখা পায়রে আহারে দারুণ বিধি খন্ডন না যায়’ বৃদ্ধার চোখে আনন্দের অশ্রু।জরা তাকে নাচ আর গানের জীবন থেকে সরিয়ে রাখতে পারে নি।বৃদ্ধা হাঁফাচ্ছেন।অথচ তার চোখে ছানি,কিন্তু ছানি কাটাবার পয়সা নেই।বৃদ্ধা যে শাক কুড়িয়ে,ঘুটে বিক্রি করে সংসার চালান।আর গাননাচের দুনিয়ায় গনগণে এক জীবনেই ডুবে থাকেন।মজে থাকেন। আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে দেখা দৃশ্যটিকেই ফিরিয়ে আনলাম এই লেখার শুরুতেই।সেই বৃদ্ধা এখন খ্যাতি,পরিচিতি অর্জন করেছেন।সেভাবে আর্থিক দৈন্যতাও আগের মতন নেই।আজ প্রায় ঘরবন্দী তিনি।শ্বাসকষ্টে ভোগেন।জরার থাবা শরীরময়।কিন্তু গান ছাড়েনি তাকে।তিনি আর কেউ নন।তিনি ফুলতি আবো।ফুলতি গীদালি।জনমানুষের কাছে তিনি ‘সাইটোল রাণী’। পশ্চিমবাংলার উত্তরখন্ডের ৭ টি জেলা নিয়ে বর্তমান উত্তরবাংলা নামক ভূখন্ডটি পরিচিত।নানা ভাষা,অসংখ্য ছোট ছোট এথনিক জনগোষ্ঠী,ভূমিপ

চা পাতা সাপ্তাহিক

ছবি
              সম্পাদকীয়   পত্রিকা ছোট হোক বা বড়  ধৈর্য রাখাটা কিন্তু বিশাল ব্যপার। চা পাতা আবার আগের গতিতেই চলবে। ব্যক্তিগত কাজের চাপে  রবিবার কবিবার দু'সপ্তাহ বন্ধ ছিল।  পত্রিকারও একটি সংখ্যাও মাঝে প্রকাশ করতে পারিনি একই সমস্যার জন্য।  আবার ফিরে এলাম আবার পাবেন চা পাতাকে আগের মতো করে।  তবে এখন চা পাতার ব্লগ এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করছে পাঠকের পড়ার সুবিধার জন্য।  কবি সুবীর সরকারের লোকশল্পীদের নিয়ে দোতারা বিভাগটি প্রতি রবিবার প্রকাশিত হচ্ছে।  পড়বেন।  পাশে থাকবেন।  ভালো থাকবেন।  ডালু শেখ অ ন ন্য  ব ন্দ্যো পা ধ্যা য় মৃত্যু এসে রাস্তায়  দাঁড়িয়ে ছিল তার  সঙ্গে দেখা করবে বলে সন্ধ্যায় ডালু শেখ এতটুকু বুঝতে পারেনি বুঝতে পারেনি কিছু কিছু মানুষ মানুষের মতো দেখতে হলেও আসলে মানুষ নয়       একশো  বাঘের থেকেও হিংস্র   হিংস্র ঘাতক এডিস মশার থেকে ও বিষাক্ত পটাশিয়াম সাইনাইডের থেকে ও  ... বারুদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ডালু শেখ এখনও ভাবছে ... কী করে সে বোঝাবে তার ছেলেকে বউকে আমাদের সকলকে আগুনে তার দেহ পোড়েনি  জীবন পোড়েনি একটন তাজা বিশ্বাস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ...    কী করে

দোতারা।। ২য় পর্ব।।

ছবি
'কুচবিহারত হামার বাড়ি ঘাটাত দেখঙ ভইসা গাড়ি ভইসা গাড়িত ছই নাই ভইসের গলাত  ঘান্টি নাই গাড়ি চলে রে এলা কাদো রে পন্থে' লোকগান ভাওয়াইয়া আমাদের প্রাণ। আমাদের সম্পদ।লোকজীবনের আবহমান যাপনের ছবি ধরা থাকে এই গানে। কি এক মায়া! কি এক ম্যাজিক এই গানে! কত গুণী,কত নামী ও অনামী শিল্পীরা আবহমান কাল ধরে নিরন্তর ভাবে এই লোকগানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।এখনো তা বহমান।    নজরুল ইসলাম। লোকমুখে নজরুল গিদাল।পেশায় পুলিশকর্মী নজরুল ইসলাম একজন জাত শিল্পী।নিরলসভাবে ভাওয়াইয়া নিয়ে ভাবেন তিনি।নিজেকে বদলান বারবার।নাটাবাড়ির নজরুল গিদাল শুরু করেছিলেন লোকনাট্যে অভিনয় ও নাচের মধ্য দিয়ে।পেয়েছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ,মালতী নারায়ণ,জনাব আলাউদ্দিন সরকার,পর্বানন্দ দাসের সান্নিধ্য।পরবর্তীতে আব্দুল জব্বার,কেরামত আলীর বন্ধুত্ব তাকে ঘিরে ধরেছিল।নিজে গান লেখেন নিয়মিত।সুরারোপ করেন নিজেই।অসম্ভব জনপ্রিয় আজ তিনি।    'মনের আয়না' ভীষণ প্রচারিত গানের এলব্যাম তার।উত্তরবঙ্গ অতিক্রম করে কলকাতা,অসমে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। নজরুল গিদাল কেবলমাত্র লোকগান গান না। তিনি প্রতিমুহূর্তে গান নিয়ে সাধনা করেন। গান নিয়েই বসত

চা পাতা সাপ্তাহিক

ছবি
    সম্পাদকীয়     চা পাতা এখন থেকে ব্লগেই প্রকাশিত হবে। ব্যস্ততার জন্য একটু দেড়িতে প্রকাশিত হচ্ছে এই সংখ্যাটি,  এই জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।  ব্লগের কাজ খুব ভালোভাবে এখনও শেখা হয়ে ওঠেনি, পরবর্তীতে আরো নতুন ভাবে ব্লগটিকে সাজাব। আপনারা শুধু পাশে থাকুন তাহলেই সব অসম্ভব সম্ভব হবে।          বেলুন  সুবীর সরকার কেমন পাপড়ভাজার মত হয়ে পড়ছে আমাদের                                                       জীবন পেরেকের গায়ে মরচে লোকমেলা থেকে কিনে আনা টুপিতে শালিক                                                  বসিয়ে প্রেয়ারে যাই। ডালা খোলা কফিনের মধ্যে আমরা রেখে                                   আসছি পাশবালিশ আমি প্রস্তুত কিনা জানতে চাইছে উঠোনের                                                 হাঁস নিজেকে লুকোব বলে একটা স্যাঁতস্যাঁতে গুহা                                                চাইছি কফিকাপের আদর চাইছি দেওয়ালে ঝুলছে ব্রিগেডিয়ারের হাসিমুখের                                                 ছবি জাতীয় সড়ক হয়ে ছুটছে আমাদের জীবন গ্রামীন হাটের