চা পাতা সাপ্তাহিক


             


সম্পাদকীয়


  পত্রিকা ছোট হোক বা বড়  ধৈর্য রাখাটা কিন্তু বিশাল ব্যপার। চা পাতা আবার আগের গতিতেই চলবে। ব্যক্তিগত কাজের চাপে  রবিবার কবিবার দু'সপ্তাহ বন্ধ ছিল।  পত্রিকারও একটি সংখ্যাও মাঝে প্রকাশ করতে পারিনি একই সমস্যার জন্য।  আবার ফিরে এলাম আবার পাবেন চা পাতাকে আগের মতো করে।  তবে এখন চা পাতার ব্লগ এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করছে পাঠকের পড়ার সুবিধার জন্য।  কবি সুবীর সরকারের লোকশল্পীদের নিয়ে দোতারা বিভাগটি প্রতি রবিবার প্রকাশিত হচ্ছে।  পড়বেন।  পাশে থাকবেন।  ভালো থাকবেন। 


ডালু শেখ

অ ন ন্য  ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়

মৃত্যু এসে রাস্তায়  দাঁড়িয়ে ছিল
তার  সঙ্গে দেখা করবে বলে সন্ধ্যায়
ডালু শেখ এতটুকু বুঝতে পারেনি
বুঝতে পারেনি কিছু কিছু মানুষ
মানুষের মতো দেখতে হলেও
আসলে মানুষ নয়
      একশো  বাঘের থেকেও হিংস্র
  হিংস্র ঘাতক এডিস মশার থেকে ও
বিষাক্ত পটাশিয়াম সাইনাইডের থেকে ও  ...
বারুদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ডালু শেখ এখনও ভাবছে ...
কী করে সে বোঝাবে তার ছেলেকে বউকে
আমাদের সকলকে
আগুনে তার দেহ পোড়েনি  জীবন পোড়েনি
একটন তাজা বিশ্বাস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ...
  
কী করে বোঝাবে সে আমাদের  বলবেন কেউ ...

ভিখিরি কলম

 ফি রো জ হ ক্


ব্যস্ততার ফাঁকের সময়কে ক্লান্ত গ্রাস করে
চোখে ঢলে পড়ে ঘুম
মাথা থেকে পা পর্যন্ত খুঁটে খুঁটে খায় ব্যথা
দ্বিধাগ্রস্ত হয় মন।
কনফিউশন নামক শব্দটি আস্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে থাকে
লক্ষ্য ও‌ লক্ষের মধ্যে‌ যমক খুঁজে পাওয়া যায়
স্থির সিদ্ধান্ত হুটহাট করে সিঁড়ি উঠতে গিয়ে
পা পিছলে যায়,
চলার সিঁড়িগুলো বড়ো নিষ্ঠুরভাবে ধরা দেয়।
কবিতা পাঠ বা কবিতা লেখাকে
হন্নেহন্নে খুঁজে বেড়াই
কবির কাছে গেলেও কবিতা গ্রাস করতে পারে না
চোখ ফিরিয়ে নিতে হয় ঘুমের দিকে,
নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন করি কবিতাকে ভেবে।

আশঙ্কা

তু হি ন  সা জ্জা দ  সে খ

সবে পড়াশোনা শেষ করেছি --
মনের মধ্যে কর্মের নিশ্চয়তার
বীজটার অঙ্কুরোদগম হয়েছে --
         তবুও একটা খটকা লেগেই আছে
         মনটা অস্থির অস্থির করছে
         কেন জানিনা --
খুব ভয় হয়
পাছে রাজনীতির চাপানোতোরে
জল-আলো-বাতাসের অভাবে
অঙ্কুর টা বিনষ্ট হবে না তো --
          মহীরুহ না হলে --
গ্রীষ্মের দিনে লোকেরা আশ্রয় নেবে কোথায়
পাখির দল সকাল সন্ধ্যায় কিচিরমিচির করবে কোথায়
আমরা প্রান বায়ু পাব কোথায়?


ভগবান

তা প স  দা স

পাথরের ছেলে,  কালো পাথরের ছেলে
মাটির মেয়ে, রঙিন মাটির মেয়ে
আমরা যুক্তি মানলাম না, অঙ্ক মানলাম না
বিয়ে দিয়ে দিলাম
আমাদের গাছের ফুল,  গাভির দুগ্ধ,  অন্তরের সুগন্ধি
ছড়িয়ে দিলাম।
এত ভাবলাম, এত ভাবলাম, মেয়েটির দশটি হাত হল
এত ভাবলাম,এত ভাবলাম ছেলেটি গলায় বিষ ও সাপ
পেচিয়ে বসে রইল পর্বত শিখরে...
আমাদের প্রয়োজনে তাঁদের পেতে আবিস্কার করে চললাম
মন্ত্র।
ভালোই বাসলাম না কখনো... 

সম্পাদনা - তাপস দাস

লেখা পাঠান - tapsds00@gmail.com





          

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১