চা পাতা সাপ্তাহিক






 



  সম্পাদকীয়

    চা পাতা এখন থেকে ব্লগেই প্রকাশিত হবে। ব্যস্ততার জন্য একটু দেড়িতে প্রকাশিত হচ্ছে এই সংখ্যাটি,  এই জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।  ব্লগের কাজ খুব ভালোভাবে এখনও শেখা হয়ে ওঠেনি, পরবর্তীতে আরো নতুন ভাবে ব্লগটিকে সাজাব। আপনারা শুধু পাশে থাকুন তাহলেই সব অসম্ভব সম্ভব হবে।         

বেলুন

 সুবীর সরকার


কেমন পাপড়ভাজার মত হয়ে পড়ছে আমাদের
                                                      জীবন
পেরেকের গায়ে মরচে
লোকমেলা থেকে কিনে আনা টুপিতে শালিক
                                                 বসিয়ে প্রেয়ারে
যাই।
ডালা খোলা কফিনের মধ্যে আমরা রেখে
                                  আসছি পাশবালিশ
আমি প্রস্তুত কিনা জানতে চাইছে উঠোনের
                                                হাঁস
নিজেকে লুকোব বলে একটা স্যাঁতস্যাঁতে গুহা
                                               চাইছি
কফিকাপের আদর চাইছি
দেওয়ালে ঝুলছে ব্রিগেডিয়ারের হাসিমুখের
                                                ছবি
জাতীয় সড়ক হয়ে ছুটছে আমাদের জীবন
গ্রামীন হাটের মস্ত আয়োজনে অসামান্য
                                           স্তব্ধতা মিশে গেলে
নগর ও নাগরদোলা নিয়ে ভাবতে শুরু
                                             করি
সাজানো মেঘের নিচে এই যে জীবন
নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষের মত আমিও বেদনার
                                    কাছে নত হই
শহরের সেরা জোকারের কাছে
ভু-পর্যটকের কালো ডাইরির কাছে
রুমাল হারিয়ে ফেলা বান্ধবীর কাছে
শিশির ও শুন্যতা নিয়ে বারবার ছুটে গিয়েছি
                                             আমি
ট্রাপিজের খেলায় হেরে যাওয়া মানুষ
                                                আমরা
ক্ষতস্থানে বরফ ঘষতে ঘষতে দেখি আমাদের
পৃথিবী জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে অজস্র মেরুন রঙের
                                               বেলুন


ঈশ্বর বিষয়ক

পূর্বালী চক্রবর্তী

থেমে যাওয়ার সার্থকতা নিয়ে
অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন উঠে আসছে
উন্নয়নের খতিয়ান ঘেঁটে তুলে আনছি
শুধুই মৃত্যুর পদচিহ্ন।
মাঝে মাঝেই ভুলে যাচ্ছি
আদৌ বেঁচে আছি কিনা !
মরশুমী দেওয়াল লিখনে তবু
রং খুঁজে নিচ্ছে মৃত্যুবিমুখ স্বপ্নগুলো ।
আর মিথ্যের কোলে মাথা রেখে আমি
সুখ বুনছি আবারও বোকার মতো।
আশ্চর্যজনকভাবে সময়ের বিরুদ্ধে
আজও যুদ্ধ ঘোষণা করেনি কোনো
খ্যাতনামা জ্যোতিষাচার্য
তাই ঠকে যেতে যেতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে
ইশ্বরকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় বইকি!

জল-চিহ্ন

শুভদীপ ঘোষ

ইত্যাদির ছাইয়ে মিশে যাওয়ার আগে
           
                 আগুনে খিদেটাকে পুড়তে দেব
খাক হতে হতে অবশিষ্টের আঙুলে
    লিখে যাব চাঁদের একান্ত জল-চিহ্ন ।



      রাত

দীপঙ্কর মুখার্জী


পূর্বাভাস নেই
তবু ভেসে আসছে সুবাস
আর অতলান্ত নদীজলে ভেসে যাচ্ছে আমার শরীর।
কারন, তা তো বুঝিনি
জানতেও পারিনি এর বিন্দুবিসর্গ।
শুধুই তলিয়ে যাচ্ছে, ভরহীন___ কি গো, সাড়া দাও
আমার ক্রন্দন শোনো।  কোথায় তোমার বেদী ?
কেউ নেই, কিচ্ছুটি হচ্ছেনা ঠাওর।
তারা জাগা রাতে
টুস টুস
কেবলই রূপ আর নজর।
                                               
                                                


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১