পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চা- পাতা ৯৩

ছবি
স ম্পা দ কী য়      আমরা মেলায় আসি, জীবনের বাধা বিপত্তি সব পেরিয়ে আসি । সুখী মানুষ সুখ ছড়াতে আসে দুখীরা দুঃখ ছড়াতে আসে। রঙিন মুখ আর রঙিন বেলুন পাশাপাশি ওড়ে, রঙে রঙে হুড়োহুড়ি লেগে যায় । সস্তার শার্ট দামি জামার গন্ধ ছুঁয়ে ফেলে । ফাটা পায়ের ধুলো গিয়ে লাগে রঙিন পা'য় ।        এই মেলা-মেলা আচরণগুলো রোজ করিনা কেন । কেন এত দূরে দূরে থাকি । কেন হিংসুটে, ফাঁকা হয়ে থাকি ।       ক বি তা নীলাদ্রি দেব  দাগ- তিন  দাগ খানিকটা বিস্ময় চিহ্নের মতো  এলোমেলো একরৈখিক আলো  যতটা ঘনত্ব ঘিরে ছিটেফোঁটা                       দাগ হয়ে ওঠে  তার চেয়ে বেশি কম  গাণিতিক সূত্র ছেড়ে স্থির  তবু বৃত্ত ঘিরে ধরে  এ অনায়াস এক টান, শরীর বাধ্য  এরপর বয়ে নিয়ে চলো, নিয়ম  ছিঁড়ে না শ্বাস নিলে, হৃদযন্ত্র ঐকিক গ্রহ ণ ******************************** পহেলী দে হৃদয়ের প্রতিধ্বনি প্রেম এসে লুটিয়ে পড়লো পায় নবমীর চাঁদ লুকালো যখন মেঘে আমরা তখন বৈতরণী পারে দাঁড়িয়েছিলাম চোখে চোখ রেখে কে যাবে কোন ঘাটে, কে শুধাতে যায় ? যার যেখানে খুশি, যাক না সে তার পথে এখানে প্রেম ঝরছে শিউলি গন্ধ ঝড়ে হাল্কা হাওয়ায় বুক মিশিয়ে বুকে আমারা জাগি অপা

চা- পাতা ৯২

ছবি
      সম্পাদকীয়        আমাদের জীবন মানেই তো এক লড়াই । আমাদের খাওয়া, শুতে যাওয়া, ঘুম সবকিছু যেন লড়াইয়েরই অংশ । আমাদের এই লড়াইয়ে ক্রমশ বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেকি প্রশাসন আর ক্ষমতাবান মানুষ । এই লড়াইয়ে কখনো জয় আসে । পরাজয় হলে সাগরদিঘিতে ভেসে ওঠে কচ্ছপের দেহ । জীবনে  চলার পথে কতকিছু দেখি । ট্রাফিকের হাতের লাঠি কিভাবে বিশ টাকাতেই হেসে ওঠে, দেখি আর বিস্মিত  হই ।       গদ্য     সুবীর সরকার একবার হরি বল মন রসনা ১. "একবার হরি বল মন রসনা মানব দেহাটার গৈরব কইরো না" মালতিগুরির চর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই রহস্য মাখা অঘ্রান সন্ধ্যায় চরের কোন অন্দর থেকে এই গানের সুর হাহাকার জাগিয়ে বা হাহাকার জড়িয়ে ছুটে আসছিল নন্দকান্ত বায়েনের দিকে । কিন্তু তখন নন্দকান্তর ঘাড়ে তার চিরদিনের সেই ঢোলটি ছিল না।কিন্তু এই গান নন্দকান্তর সমগ্র শরীরের পেশিতে কেমন এক উন্মাদনা এনে দিতে থাকে । তার ইচ্ছে করে ঢোল নিয়ে কুয়াশার ভেতর দিয়ে কোন এক গানের জুলুসে চলে যেতে।তারপর গানে গানে জীবনের মস্ত আখ্যান বয়ন করতে করতে জীবন মায়ায় কেবল কান্না আর কান্না বিছিয়ে দিয়ে একপর্বে মালতিগুরির চর অতিক্রম করে নন্দকান্ত বায়েন

চা-পাতা ৯১

ছবি
      সময় বদলাচ্ছে, পরিস্থিতি বদলাচ্ছে আর এই বদলানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু পরিবর্তন এমন হুট করে ঘটে যার সাথে মানিয়ে নেওয়া খুব মুশকিল হয়ে যায় । লকডাউন পরবর্তী সময়ে আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি । কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের সাথে এখনকার সময়ের বিশাল ফারাক । অনেক নতুন নতুন শব্দ, শব্দের সাথে রাজনীতি এসে জীবনটাকে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গেছে । জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া । মানুষের হাতে টাকা নেই । তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে তো গেছেই । কোন প্রকার কমা দিয়েই থামানো যাচ্ছে না। চাকরির বদলে সবাইকে লক্ষ্মীনারায়ণ সাজিয়ে ভাতা দেওয়া হচ্ছে । ভাতের থালার সাথেও আধার লিঙ্ক করিয়ে আমরা অপেক্ষা করছি সুষম খাদ্যের জন্য । ভগবান মন্দির ছেড়ে বুর্জ খলিফায় বসে কি ভাবছেন সেটাই এখন দেখার বিষয় । মা নি ক   সা হা নৈঃশব্দ্যগামী সেও এক আষাঢ় মাসের দিন। বাবা বৃষ্টি ভেজা হয়ে বাজার থেকে ফিরছেন। সাদা ধুতি  পাঞ্জাবীতে তিনি এক মায়াবী মানুষ। টালি ছাওয়া রান্না ঘর। মাটির মেঝেতে বসে দুধ ভাত খাই। আমাদের চাহিদা ছোট ও  নরম । বাবারও তাই। খুব বড় কোন স্বপ্ন তাঁর কোনকালেই ছিলনা। দুধ-ভাতের বাটি থেকে মুখ তোলে অনন্ত শৈশব। মারোয়ারী বন্ধু মনোরম লাল সাইকেল  চ

চা পাতা ৯০

ছবি
  সম্পাদকীয় রাম - রাবন,  কৃষ্ণ- কংস, কৌরব-পান্ডব ধর্ম পুস্তকে লেখা আছে এদের সংঘাতের কথা  । এই লড়াইগুলির প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ধর্মকে অধর্মের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য । এরা কেউই কিন্ত পরস্পর বিরোধী ধর্মের লোককে খুন করে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ধর্মযুদ্ধ করেনি । আমি যেই ধর্মটা জানি তা থেকে কিন্তু এটাই জেনেছি । কবিতা উদয় সাহা মৃত্যু ও একটি পেঙ্গুইন এক. জলের দিকে হেঁটে চলে যায় কাঁকড়া পজ্। রিজিউম। পজ্। রিজিউম ... সন্ধ্যা হয়ে আসছে দুই. ঘর মানেই গর্ত ঘরে ফিরে আসতে হয় দিনান্তে ওঁত পেতে থাকে শৃগাল জীবন-দ্বীপে গোধূলির শোভাযাত্রায় পেঙ্গুইন স্পেসবারে  পুলিশ ( চোর ) তিন. নিম অন্ধকারে কেবল চেয়ে থাকা৷ চেয়ে থাকা। চেয়ে থাকা... নিভে গেছে পৃথিবীর আলো চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে এই নক্ষত্রকোলাহল মনে মনে বলি, দর্জি জীবন নিশান্তে আমি নির্জন পান্ডুলিপির মুখোমুখি চার. প্রকান্ড আবছায়ায় শুয়ে আছি সকাল,দুপুর, বিকেল সব বেলাই মৃত্যুদিন এখানে সবাই পরিযায়ী পাখি ; চিড়িয়াখানার চিত্রকল্প চোখে-মুখে সঞ্চালিকা আচার্য উষ্ণ হাতল বড়ো ক্ষুদ্র কফিনে শুয়ে আছ― ডালার মুখ শোওয়ার ঘরের দিকে। এই কি অন্তিম শীত তবে? যে সঘন সার