চা পাতা * ৭৫

 




সম্পাদকীয়


আমরা অসুখ পর্বে অনেকটা পথ অতিক্রম করে ফেলেছি । বদলে গেছে আমাদের প্রতিদিনের যাপন, আচার-আচরন আরো অনেক কিছু । অসুখ কাম্য নয় তবে অসুখ পরবর্তী সময়ের এই যে মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তন এটার হয়তো প্রয়োজন ছিল । হ্যাঁ দিন আনি দিন খাই মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে । তারা কবেই বা ভালো ছিল । তবু ভালো করে ভেবে দেখলে মনে হয় ওরাই ভালো আছে ।


কবিতা



সঞ্চালিকা আচার্য

পৃথিবীতে কত অদ্ভুত জন্ম হয়

স্বপ্ন এঁকে রাখতিস রুলটানা খাতায়। দরজার পাশে থমকানো সে একরত্তি খাতার ওপর কত রাজত্বের উত্থান-পতন। বুকমার্ক জুড়ে জলদাগ। জল বইছে লিসে, কত জল যে বইলো। ওইপারে শৈশব। এখন আমি যা জানি, ও তা জানে না। জানলে ভালো হত।
তারপর চোরাটান। ত্বক ও কান। আবেগবাগান। ঠোঁটশৈলী জানাতে উড়ে যায় সবুজ ম্যাগপাই। জলপাইপাতায় বৃষ্টির নরম নেই, গাড়ির সাঁতার দেখে গায়ে কাঁটা। সুখতলা বেয়ে ঠাণ্ডা উঠে আসে। ডান খাঁজে শুধু বাঁ-হাঁটুর উষ্ণতা।
স্টারডম থেকে কুড়ি ফিট, মাইক্রোওয়েভে বিপ বিপ বিপ। মৃদু নড়ে ম্যাজেস্টিক পাম। পুরাতন উই বুঝে যায় দরজার পাশে থমকানোর মানে।
রোদ্দুর জানে এইসব অভিমান, জ্যোৎস্নাও তার কিছু কিছু জানে।





দেবব্রত দাস

চোখ থেকে ঝরে গেলে

চোখ থেকে ঝরে গেলে আকাশ আমি আকাশ দেখি " " " " নদী আমি নদী দেখি " " " " ফুল আমি ফুল দেখি " " " " জীবন আমি জীবন দেখি আমি যা দেখি — আমার চোখেই লুকিয়ে থাকে আবার চোখ থেকেই পালিয়ে যায়
তোমাকে এ যাবত একবারই দেখেছি আর দেখছি না সেই যে চোখ থেকে পালিয়ে গেলে আর এলে না আকাশ এলো, নদী এলো, ফুল এলো, জীবন এলো, কবিতাও এলো...

------------------------------------------------------------------------------




পহেলী দে
উপেক্ষার বর্ষণ
সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজলাম তবু উপশম পেল না হৃদয়ের অরণ্য ছোপ ছোপ রক্ত ফুটে আছে পাতার ফাঁকে ফাঁকে মগডাল ছাই হলো উপেক্ষার বর্ষণে।
এক আষাঢ় স্বপ্ন নিয়ে যে নদী ঘর ছেড়েছিল ফেরার পথে কুড়িয়ে আনে ধুলোর প্রবঞ্চনা, দুঃখ তাড়ানিয়া রোদে প্রতিবিম্বিত শরীর বেয়ে নেমে আসে ঝড়ের ঘূর্ণি চিরল জলের ডগায় শুয়ে থাকে আকাশ নামের ভ্রম।
মাছেদের শহরে সূর্যাস্ত নামে অন্ধকার ঘনীভূত হলে ফিনিক্স পাখি ফিরে পায় পারিবারিক পাঠশালা সম্পর্কের দোতারায় বেজে ওঠে আত্মার মূর্ছনা।
ঘন জঙ্গলে পথ হারিয়ে একজোড়া ডাহুক অবিশ্রান্ত উড়ে যায় বিষণ্নতার দিকে উপশমহীন অশ্রুবিন্দু বৃষ্টিপতনের শব্দে মাপে মাটির গভীরতা,
সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজলাম তবু সিক্ত হলো না ঘাসফুল হৃদয়, চোখের সামনে ভিজে চুর হলো মফস্বলের বিবাহযোগ্য আধুনিকা, ব্যাঙের ছাতার মত টিনের বাড়ি বড়পুকুরের নিপাট যৌবন।
------------------------------------------------------------------------------



পৌলোমী সরকার
বীতশোক

পরিচয় থেকে যতদূর পারি 
আলাপের কথামালা ভুলি
রাত জাগা একটি পাখী
অনেকদিন বন্ধু হয়েছিলো 
তবে 
ঐ আর কি 
আমিই প্রলাপ ও আলাপন মিশিয়ে ফেলি
বোধ ও বুদ্ধি যেমন,
দুধকলা দিই,
তবে
আজই চাঁদ সওদাগরকে 
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম
বীতশোক 
শিখে নিতে পারি
-----------------------------------------------------------------------------------------



অনন্যা দাশগুপ্ত
বারান্দা বিলাস
স্বপ্নের মতো করে খুঁজে ফিরছিলাম ঘরের রাস্তা আর তখনই মা ঘর গোছাতে ব্যস্ত।
মা বারান্দাঘেরা একটা বাড়ি স্বপ্নে দেখত, দেখেও রোজ।
মা এও বলত, বারান্দাবিলাস বলে একটা বই লিখব।
আজো লিখে উঠতে পারেনি যদিও...।।। বাবাকে মা খাবার বাড়ার সময় বলে একটা ফ্ল্যাট কিনতে, বারান্দা দেওয়া।
অবাক লাগে, আমি সব শুনি করার ইচ্ছে থাকলেও ক্ষমতা নেই।
বারান্দা কী বিলাস!!!
মা ভালো বলতে পারে।



----------------------------------------------------------------------------------------
চা পাতা সাপ্তাহিক
সম্পাদক - তাপস দাস
প্রচ্ছদ ছবি ক্যাপচার - শৌভিক বণিক

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১