ধারাবাহিক গদ্য



৩২.

যে কোন শিল্পচর্চায় একটা দর্শন থাকে।কবি,সাহিত্যকর্মী,শিল্পী সবাইকেই সমাজভাবনা তাড়িত করে।জাড়িত করে।শিল্পী তো একটা সমাজেই জীবনযাপন করেন।তার একটা দেশ থাকে।অগনণ মানবসমাজ থাকে।দেশকালসময়কে অস্বীকার বা উপেক্ষা করে কখনই শিল্পচর্চা হতে পারে না।তাই জীবনের আলো অন্ধকার জড়িয়ে শিল্পচর্চায় একটা সজীব সমাজভাবনা উচ্চারিত হতেই থাকে।তবে,তা সবসময় প্রকাশ্যে হয়তো ধরা পরে না।অর্ন্তলীন চোরাস্রোতের মত হয়তো প্রবাহিত হতে থাকে।অনন্ত স্বর ও প্রতিস্বরের মত বুঝি বা।

আসলে জীবন নিয়েই তো শিল্পসাহিত্য।জীবনই তো উঠে আসে শিল্পকর্মের মাধমে।জীবনের পরতে পরতে জমে থাকা রহস্যগুলি,স্বেদবিন্দুগুলি শিল্পমাধ্যমে তীব্র ভাবে লেগে থাকে।জীবন দেখবার এক নুতন চোখ নিয়ে পাঠকেরা নিজেদেরকে খুঁজে নিতে পারেন।দর্শনের ঘোরে এক নুতনতর হয়ে ওঠা হয়ে ওঠে পাঠকের।আমি এখানে শিল্পচর্চার সাহিত্য মাধ্যমটিকেই বেছে নিয়েছি,তাই পাঠকপ্রসঙ্গের উত্থাপন।

৩৩.
আমাদের সাহিত্যের বিশাল ক্যানভাস জুড়ে আবহমানের এক কালখন্ডের যাতায়াতে কি গভীর এক জীবনবোধ খেলে বেড়ায়।সমাজভাবনার জারণ ও বিজারণ দিয়ে এক অনন্য জীবনবোধ বারবার জেগে উঠতে থাকে কালের পরিসর জুড়ে।জীবনানন্দ দাস,আল মাহমুদ তাদের কবিতায় দেশকালসমাজের নিপুণ এক ভাস্য সাজিয়ে দিয়েছেন।সব ও সমস্ত অতিক্রম করে শেষাবধী মানুষ তো জীবনকে অবসরের গানের উত্তাপ ছড়িয়ে দিতে দিতে ভরেই তোলেন কালের কলস।অনেকটা কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যাওয়া একটা অবলুপ্ত সময়ের লিরিক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১