ধারাবাহিক গদ্য


৩০.
সেই বিশ ফরেষ্ট কুড়ি নদীর পৃথিবীতে ভরসন্ধ্যেতে আমরা দেখি হেমকান্ত হেঁটে চলেছেন।হয়তো কোন নদীর খেয়া ধরতে বা ভাঙা হাটের দিকে।জনমভর এভাবেই হেমকান্তর  হেঁটে চলা।সে হলো হাটাই।কেউ যদি তাকে প্রশ্ন করে তার হাঁটা নিয়ে,হেমকান্ত তখন একথাই বলে;এই হাঁটা কিংবা মাইল মাইল হেঁটে চলাটাই তার জীবন।নদী ফরেষ্ট গঞ্জ মানুষ নিয়ে এই যে দিনদুনিয়া এই ভেতরেই সে বেঁচে থাকে রোদ, বৃষ্টি আর মেঘের মতন।
একটি সরকারী কাজে শীলতোর্সার উজানে হাতিডোবার চরে এক জুন দুপুরে হেমকান্তর সাথে দেখা হয়ে যায় রতন মল্লিকের।অদ্ভুত এই মানুষটি রতনের নজর কেড়ে নিয়েছিল।হেমকান্ত  রতনকে জানিয়েছিল সেই কত কত বছর আগে,তখন কোচবিহারের মহারাজা স্বয়ং শিকারে আসতেন এই কুড়ি নদী বিশ ফরেষ্টের পৃথিবীতে;মহারাজার হাতি ডুবে মরেছিল এখানে।সেই থেকে এটা হাতিডোবার চর।অনেক বছর বাদে হেমকান্তকে নিয়ে একটা গল্প লিখে পুরস্কার পেয়েছিলেন রতন মল্লিক।

৩১.

জীবন জুড়ে গল্পের পর গল্পের ঢেউ।সেই সব ঢেউয়ের ওপর ভাসতে থাকে সমস্ত দেখা ও না দেখাগুলি।আমার কবিতার জোতজমিতে খুব একার এক একাকীত্ব রয়েছে।আসলে কবিতা তো চিরকালীন এক আবহমান গান হয়েই ঘিরে রাখে একজন কবিকে।ইথার তরঙ্গের ম্যাজিক ক্যানভাস জুড়ে কবিতার ঘর ও বসতি।মিথের মতন।মিথবাহিত এক তাড়নার মত।মিথ তো আসলে ফেটে ফেটে ছড়িয়ে পড়া তুলোবীজের মতো।আমি তো কবিতায় মিথের নির্মাণ ও বিনির্মাণ নিয়েই জেগে থাকি।কবিতা লেখার জীবন আমাকে ঘুমোতে দেয় না।আমি ধরতে পারি না প্রকৃত শব্দ।চিত্রকল্প।একা একা ঢুকে পড়ি আন্ধারময় বাংকারের ভেতর নুতন কবিতা কুড়িয়ে আনবো বলেই।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১