আমার কবিতাজীবন : নদীতে মিশে যাওয়া কান্নার জীবন


৫.

চিলাপাতার জঙ্গল থেকে মথুরার ভরা হাট থেকে জার্মান রাভার ঢোলের পাশ থেকে খোকা বর্মনের সানাই থেকে বারবার তীব্রভাবে উঠে এসেছে আমার কবিতা।আমার জীবন নিয়ে কত কত বার ডুবে গেছি উত্তরের সব ও সমস্ত আঞ্চলিক নদীতে।ঘন ঘন প্রেমে পড়েছি।ভাঙা প্রেম থেকেই উঠে এসেছে চিরুণী ও আয়না।কবিতাজীবন আসলে পাখির শিস।আর সাইকেলের চেনে নিউট্রামুলের গন্ধ।কবি বেণু দত্ত রায়ের কাছে শুনেছিলাম পুরোন ডুয়ার্সের গল্প ও গাঁথা।কাঠের বাড়ি।শীতের রাতে বাঘ জল খেতে আসতো উঠোনে।কবি সনৎ  চট্টপাধ্যায়ের
কাছে শুনেছিলাম কারিয়া মুন্ডা আর একোয়া ওরাও-এর বাঘের সাথে মল্লযুদ্ধের গল্প।এইভাবে বিচিত্র এক ক্যানভাসে জুড়ে বসতে থাকে আর শিমুল তুলোর মত উড়ে আসতে থাকে কবিতারা, না সারা অসুখের মতন।

৬.
'গমখেত ছুঁয়ে কি তীব্র হচ্ছে শীত।
বিপর্যয় সামলে নিই।তারপর আবার দেখা হবে
                                                      আমাদের।
সাইলেন্স নেমে আসা পৃথিবীতে
রক্তে চিনি বেড়ে যাওয়া মানুষেরা ঘুরে
                                                  বেড়াচ্ছে
ভরা হাটে পুতুল কিনি।
সরষেরঙের সানগ্লাস কিনি।
ছুটে আসছে ধুলোর রথ।মাছের কাঁটা ভুলে
                                          যাওয়া বেড়াল।
বাঘের থাবার নীচে রেখে আসি
                                              রুমাল'।
লিখে ফেলি।আলগোছে জল খাবার মতন।শামুকতলা হাটের ভেতর কেমন গানসমেত ঢুকে পড়েন মঙ্গলা বর্মণ।চটকা গানের পাশে সাজিয়ে দেন মঙ্গলা মনশিক্ষার গীত।কবিতার জন্য আমি জাপটে ধরি বিচিত্র এক যাপন।ঘুরে বেড়াই অন্তহীন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১