১।

কবিতাজীবন বলে কিছু হয় কি ! কবিতাযাপন বলে কিছু ! জানি না।বুঝি না।হয়তো হয়। গল্পের পাকে পাকে জড়িয়ে যাওয়া এক জীবনের মতো। আসলে এতগুলি বছর কবিতার সঙ্গেই তো কেটে গেল আমার !প্রায় ৩৫ বছর। আর ৫০ ছুঁয়ে ফেলবার পর খুব পেছন ফিরে পুরোন বইয়ের পৃষ্ঠা ওলটাতে ইচ্ছে করছে। কিভাবে শুরু হয়েছিল আমার জার্নি। এই উত্তরে বসেই তো কাজ করলাম এত এত বছর।প্রান্তে থেকেই আজ সামান্য কিছু পাঠক, কিছু স্বজন পেয়েছি আমি।পেয়েছি ঝকঝকে ও অসম্ভব তেজী তরুণ কবিদের।আর যাই করি, একটিও ভালো লেখা লিখে উঠতে না পারি; মাঝপথে পালিয়ে যাই নি।ডুবে ছিলাম ডুবে আছি আজও বাংলা কবিতার বর্ণময় ভূবনজোতে।

২।

কবিতা লিখতে এসে কত অপমান সইতে হয়েছে। কত প্রতারণা,কত আঘাত। কত মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। নুতন মানুষরা তাদের ভালোবাসায় জড়িয়েও ধরেছে বারবার। আমি কখনো কেবল নিজেকে নিয়ে বাঁচতে চাইনি। সবাই মিলে চাঁদের আলোয় খামারবাড়ির উঠোনে সমবেত ভোজসভায় বসতে চেয়েছি। কোথাও জায়মানতা থাকে না।বিস্তার হারানো নদী নিজেই খুঁজে নেয় বিস্তার।নদীর পাড়ে পাড়ে শূণ্য প্রান্তরে আমি সারাজীবন শুনে গেলাম বাওকুমটা বাতাসের গান। তাই আজ সব লিখবো।সাদা লিখবো।কালো লিখবো। লিখে রাখাটা জরুরী।গোপন ঘাতকের ছুরি থেকে ভেসে আসছে লাল রঙের লালা।কবিতাজীবন বলে কিছু হয় কি ! জানি না। তবে আজ এটুকুই বলি,আমার কবিতাজীবন নদীতে মিশে যাওয়া এক কান্নার জীবন। হাহাকারের জীবন। স্বপ্নের জীবন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১