চা পাতা।। সংখ্যা - ৪৬
সম্পাদকীয়
চা পাতা আর কিছুদিনের মধ্যেই একবছর পূর্ন করতে চলেছে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছে চা পাতা। অন্যান্য অনলাইন পত্রিকার মতো লাইক, কমেন্ট, শেয়ার পায়নি এই পত্রিকাটি কিন্তু তরুণ কবিরা প্রাণ ভরে লিখেছে এই পত্রিকায়। অনেক অগ্রজ পত্রিকাটির প্রশংসা করেছেন, পাশে থেকেছেন শুরু থেকেই। আপনারা পাঠকের সংখ্যাও বেড়েছে দিনদিন। এই আনন্দের জন্য এতকিছু।
বাজো জাগ্রত
নব কুমার পোদ্দার
শার্সি বরাবর জীবন
তাতে হোঁচট খায় ক্লাউন;
ভাঙাআলো রান্না হয়।
মহব্বতপুরের দেওয়াল ঘেসে
একঘেয়েমি মরাকান্না।
যদি প্রকাশ্যে আসে শুঁয়োপোকা?
কী হবে বারান্দার ম্যাজিক ফিগার...
প্রজাতন্ত্র
শুভদীপ আইচ
কিছু ঘূর্ণাবর্তে আমি রেখে গেছি মোহ ,মায়া,আর কামিনী কাঞ্চন
এ বিশ্ব আসলে পুরোনো একটা ভাঙা সাইকেল
যার তাপ্পি লাগানো টায়ার এ চেপে
আমরা স্বপ্ন দেখি দেশ গড়ার ।
আবিল
মন্দিরা ঘোষ
সংকোচ আছে
আছে চাওয়ার সারি
মাটির গন্ধের মত
মায়া পিছু পিছু
স্পর্শের সারণি ছুঁয়ে
নিঃসারী স্রোত
চোখের ভেতরে নামে
নরম সহজ
ঝুরো ঝুরো বৃষ্টির তাতে
তুমি আমি শুদ্ধ ফেনায় মাতি
চেয়ে চেয়ে দূরকে কাছে পেতে
আবিল খাতা খুলে রাখি
ডায়েরি
নীলাদ্রি দেব
আলোর বিপরীতে আলো ভেসে আসে
তারাদের গান
হেডফোনের তারে তারে বাঁধা
পথ নয়. ধুলো চিনে পৌঁছব সুরে
আমাদের প্রশ্বাসে সাদাকালো সুর লেগে আছে
জাতিস্মর
অনুরাধা নাগ
হলুদ-হেমন্তকে আঁকড়ে নিয়ে
তুসোর মিউজিয়ামে আমি
কোলগেট বিপণনের মডেল।
মুখোশ গলানো একটি স্ফুলিঙ্গ
অথবা পরশ পাথরের উৎস সন্ধানে--
উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে নিঃসৃত হয়
সংগীত,বেদনা,এলোমেলো হাতছানি,
আর জাতিস্মরের দেয়াল-লিখন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন