চা পাতা।। ৪৪
স ম্পা দ কী য়
" অসত্য হতে আমাকে সত্যের পথে নিয়ে চল
অন্ধকার হতে আমাকে জ্যোতির পরিচালিত কর
মৃত্যু হতে আমাকে অমৃতের পথে নিয়ে চল"
অন্ধকার হতে আমাকে জ্যোতির পরিচালিত কর
মৃত্যু হতে আমাকে অমৃতের পথে নিয়ে চল"
- কথাগুলো যার উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে তিনি ঈশ্বর ব্যাতিত অন্য কেউ নন। কবি লেখকদের মধ্যে একটা বড় অংশকে দেখি যারা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় করাতে বেশ গর্ববোধ করেন। আদতে নাস্তিক বলে কিছু আছে এটা আমার মনে হয় না। যারা প্রচলিত ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন না, তারা নিজের ঈশ্বরকে নিজের মতো গড়ে নেন। তার কাছেই নতজানু হন বলে আমার বিশ্বাস। আপনি আপনার সৃষ্টির প্রতি নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন। সে নিশ্চয়ই আপনাকে এই দুঃখ অথবা সুখজগৎ থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন করে খানিকটা ভিন্নস্বাদে সুখ ও দুঃখ ভোগের সুযোগ করে দেয়।
আপনি যদি পুরোপুরি নাস্তিক হতেন। তাহলে জ্বর বা ক্ষুধা পেলে হোটেল হাসপাতাল এর কথাই মনে পড়তো। কিন্তু আপনার মায়ের কথা মনে পড়ে। সুতরাং এইসব ওয়েস্টার্ন নাস্তিকতাবাদ থেকে দূরে থাকুন।
প্রচলিত ঈশ্বর নাই মানতে পারেন। নিজের মতো করে ঈশ্বরকে গড়ুন।তাকে ভালোবাসুন পূজা করুন।
শুভ দীপাবলি।সবাইকে আলোর উৎসবের অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। সবার জীবন সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক।
কবিতা
---------------------
রঙ
নবনীতা ভট্টাচার্য্য
রঙগুলো সব কেমন যেন
সাদা কালো লাল নীল
আকাশ সমুদ্র ব্যাপী
সে এক অদ্ভুত ব্যাপ্তি
পাহাড়ের খাঁজে ঝড়নার নীচে
তোমার কফি মগে
আমার বারান্দার দেয়ালে
সেগুলো পাল্টে পাল্টে যেতে থাকে।
কাগজের নৌকা
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
স্মৃতি ঘুম কাটে না ৷ ঘোরের ওপার থেকে অনুভূতিরা নগদ দাম দিয়ে বিষাদ কিনে আনে ৷ ! কাঁসারির দায় কী বা ! তবু আঘাতে যে অনুরণন , তার স্হায়িত্ব অতি দীর্ঘ ৷ শব্দেরা মুদ্রিত না হলে , তা যেন আরও বিষময় হয় ৷ ছেড়ে যাওয়া যায় , ভুলে যাওয়া বড় কঠিন ৷ তাই যত ভুলতে চাই তত কথার সিঁড়ি নীচে নেমে আসে ৷ অবিরত অশ্রু পান করে , আজ আমি একটা জলাশয় পুষেছি নীজের শরীরে ৷ প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যাতায়াতের পথে , তোমার ছায়া নড়ে ওঠে সেই জলে ৷ আমি ভ্রমে জেগে থাকি মিলন সম্ভবা হয়ে ৷ তুমি সম্পর্কে ছিলে না কোনদিন , ছিলে শুধু শরীরে ৷ নৌকা কাগজের হলে , ছিঁড়ে যায় ক্ষণিকের স্রোতে ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন