দোতারা।। ৫ম পর্ব।।


দোতারা ।।  ৫ম পর্ব ।।

কবি সুবীর সরকারের কলমে লোকশিল্পী ললিত চন্দ্র রায়  

'বাচ্চা বাপই সোনার চান্দ
গরু দুইটা আইলত বান্ধ'
উত্তরের মাটির গান।প্রানের গান।শরীর ও মনে এক সুরের আবেশ জড়িয়ে ধরে।যার রেশ থেকেই যায়।কত কত নুতন গান লিখছেন গাইছেন জানা অজানা কত লোকশিল্পী।পূর্ন হয়ে উঠছে আমাদের লোকগানের ভান্ডার।
লোকগানের মধ্য দিয়েই তো উঠে আসে লোকজীবনের জীবন্ত সব ছবি।দৈনন্দিন যাপনের কথা।
'বাউকুমটা বাতাস যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে
ওই মতন মোর গাড়ির চাকা পন্থে পন্থে ঘোরে
ও কি গাড়িয়াল মুই চলং রাজপন্থে'
একদিন এই অদ্ভুত গতিময় গানটি শুনেছিলাম
ললিত চন্দ্র রায়ের কণ্ঠে।ললিত চন্দ্র রায় অসমের গোলকগঞ্জ অঞ্চলে থাকেন।পেশায় শিক্ষক এই গানে ডুবে থাকা মানুষটি লোকগানের প্রচার ও প্রসারের কাজেও কাজ করে যাচ্ছেন।
ললিত চন্দ্র রায় চটকা গানে অত্যন্ত পারদর্শী।বেতার ও দুরদর্শন সহ নানা জায়গায় গানের পর গান গেয়ে চলেছেন তিনি।মঞ্চে তিনি জাদুকরের মতন।মাতিয়ে তোলেন দর্শক শ্রোতাদের।
প্রতিমা বড়ুয়া,আলাউদ্দিন সরকার,আব্দুল জব্বার,কেরামত আলী,মানিক আলী-র সান্নিধ্য পেয়েছেন।
তৈরি করেছেন উত্তরসূরি।পরবর্তী প্রজন্মের লোকশিল্পীদের উৎসাহ দেন তিনি।
লোকগান নিয়েই ললিত চন্দ্র রায়ের দিনযাপন ও আগামীর স্বপ্ন।ললিত দা দোতরার ডল ডল ডোল ডং এ ডুবে গিয়ে গাইতে থাকেন-
'তোক না দেখলে
মনটায় মোর উড়াঙ রে বায়রাঙ করে'
কিংবা-
'মন মোর কান্দে রে
আজি গঙ্গাধরের ওই না
ভাঙনি রে দেখিয়া'
ভালো থাকুন ললিত দা।তোমরা হইলেন গান পাগেলা মানসি।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১