দোতারা।।৭ম পর্ব


'তুই যে ধন দিলু মোর দোতরা
ও মুই ভুলির পারিম না'

সন্তোষ কুমার বর্মণ। লোকশিল্পী। নিজেও ভাওয়াইয়া লেখেন।ময়নাগুড়ির পুটিমারী গ্রামে বাড়ি।বাড়িতে খুলেছেন ভাওয়াইয়া গান প্রশিক্ষণের স্কুল। বাবা ও মা শ্যামচন্দ্র বর্মন এবং জলেশ্বরী বর্মন এর কাছেই প্রাথমিক লোকগানের দীক্ষা নিয়েছেন।বাবা তুক্ষা গাইতেন।কীর্তন করতেন।পরবর্তীতে পেয়েছেন বিভূতিভূষণ মোদক (অন্ধ গিদাল)
প্রেমানন্দ রায়,দীনেশ রায়,দীপ্তি রায়,আজিমুদ্দিন দের মতন গুনিজনেরা স্নেহ।শিখেছেন কত তাদের থেকে।
ঝুঁকে পড়েছেন লোকগানের মরমী দুনিয়ায়।
সারাজীবন গান নিয়েই থাকতে চান।লোকসংগীত ভাওয়াইয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে চান নুতন উদ্যমে।হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টিকে সংরক্ষণ করতে চান।নানা প্রতিবন্ধকতা ও দারিদ্রকে সঙ্গী করেই সন্তোষ কুমার বর্মনের নুতন স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়া।আর বুকের ভিতর থেকে তিনি গান ছড়িয়ে দেন, মায়া বিছিয়ে দেন-

কোন বা দ্যাশে গেইলেন, মইষাল ও,
আরে ও মইষাল,বাথান দ্যাখোঙ ধুয়া।
তোমার বাদে এঁলাও আছে আঞ্চলের
         গুয়া,মইষাল ও। 

   বন কাটিয়া বসত্ হইলেক রে,
আরে ও মইষাল,গেইলেন তোমরা ছাড়ি।
কোন জঙোলোত্ বাথান এলা,কুন্ঠে কইল্লেন
              বাড়ি,মইষাল ও! 

এতো- এ তোমার গোসা, মইষাল ও,
আরে ও মইষাল,হইলেন ময়াছাড়া,
যাবার সমায় ফ্যালেয়া গেইলেন
   হাতের দোতোরা,মইষাল ও!

না শোনোঙ আর ঘন্টির বাইজোন ও,
আরে ও মইষাল,না দ্যাখোঙ বাথানে,
    না আইসে আর দেওয়ার ঝরি
তোর ভাওয়াইয়ার টানে,মইষাল ও'!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চা-পাতা ১০০

চা-পাতা ৯১