পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৪২.   প্রত্যেক মানুষের জীবন পূর্ণ হয় উপযুক্ত লাইফ পার্টনার পাশে থাকলে। যদিও আমাদের চারপাশে প্রচুর অসুখী দম্পতি। মুখোশ পরা যুগল। সুখকে সাইনবোর্ড করে ঘুরে বেড়ান তারা। আসলে লাইফ পার্টনার এর সঙ্গে একটা সহযোগিতার বিনিময়ের সুস্থতা গড়ে তোলা জরুরী। এখানে ব্যাক্তিগত ইগোকে প্রাধান্য দিলেই সমস্যা।   আমার জীবনসঙ্গিনী পম্পা রায়। সে কবিতা লেখে,গানের জগতের মানুষ।পেশায় শিক্ষক।সামাজিক কাজের কর্মী।   আমার সাথে পম্পার পরিচয় ২০০০ সালে।একটা গানের আসরে। ক্রমে প্রেমে পড়া। জড়িয়ে যাওয়া। স্বপ্ন দেখার মহড়া পরব।    আমি কবিতার মানুষ। আমি চূড়ান্ত স্বপ্ন দেখা মানুষ। সম্পর্ক রচনার সম্পর্কের অগ্রগতি সবের পেছনেই সংযোজক অব্যয়ের ভূমিকা পালন করেছে কবিতা, সঙ্গীত ও স্বপ্ন। ৪৩. ২০০৩ এ আমাদের বিয়ে হয়। সেই থেকে আজপর্যন্ত আমরা কিন্তু জড়িয়েই আছি। আমার অগোছালো জীবন,আমার তীব্র ঘুরে বেড়াবার জীবন, আমার সংশোধন আর কাটাকাটির জীবন, আমার লেখাপড়ার জীবনকে সবসময় তুমুল প্রশ্রয় দিয়ে আগলে রেখেছে পম্পা। আমি মানুষ ভালোবাসি। আমি লোকসঙ্গীত ভালোবাসি। বাড়িতে সবসময় মানুষের ভিড়। পম্পার সঙ্গত না থাকলে সম্ভব হ

চা পাতা * ৬৮

ছবি

চা পাতা * ২য় বর্ষ * ৬৭

ছবি

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৪০. সমস্ত জীবনভর আমাকে জাগিয়ে রেখেছে অজস্র বই আর বই। সেই সব পাঠ আমাকে পুষ্ট করেছে। জীবন চিনিয়েছে। আমাকে জাগরণ থেকে আরো এক নুতনের দিকে নিয়ে গেছে। যেমন-‘রম্যণি বীক্ষ্য’। লেখক শ্রী সুবোধকুমার চক্রবর্তী। খন্ডে খন্ডে তিনি বাংলায় ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন। এবং দ্বিধাহীন ভাবে বলতে চাই এটাই সত্য যে বাংলা ভাষার সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় ভ্রমণকাহিনি হল রম্যণি বীক্ষ্য। পড়তে পড়তে পাঠক চলে যান এক বর্ণিল ভুবনজোতের ভেতর। কেবল ভ্রমণ নয়।ভ্রমণের সাথে জড়িয়ে থাকে ইতিহাস,পুরাণ,লোককথা,মিথ এবং ইতিহাসের মানুষজন।লেখকের কথা বলবার ধরণ এমনই যে একটা ঘোর এসে যায়। ঘোরের ভেতর গুড়ি মেরে বসে থাকে তীব্র এক অপেক্ষা। ৪১.    সম্প্রতি পাঠ করলাম ‘রম্যণি বীক্ষ্য’-র কোশল পর্ব।একটানেই পড়ে ফেলতে হয়েছে আমাকে।থামতে পারিনি কোথাও। কি সতেজ,কি প্রবলরকম এক টান এই লেখায়।শেষ না করে ওঠা যায় না!    মুখ্য চরিত্র গোপাল। সে উদাসীন। আত্মভোলা। সে কেবল ঘুরে বেড়াতে থাকে, ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে ইতিহাস আর পুরাণ জড়ানো জনপদের পর জনপদ। বহু বিচিত্র সব মানুষজন ও ঘটনার ঘনঘটা গোপালকে জড়িয়ে ধরে। আর সেই সব পাঠককেও অদ্ভূত উন্মনা করে দিতে থাকে।  কাশ

চা পাতা * ২য় বর্ষ * ৬৬

ছবি

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৩৮. দেবেশ রায়। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। কথাশিল্পী। এক অপরূপ কথোয়াল। অনেক বছর আগে দেবেশের 'দুপুর' গল্পটি পড়ে আমি চমৎকৃত হয়েছিলাম। তারপর একে একে দেবেশের লেখাপত্তরের গহিনে ক্রমে ডুবে যেতে থাকা। ইতিমধ্যে দেবেশ রায়ের অগ্রজ দীনেশ চন্দ্র রায় আমার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন। মাত্র 48 বছর বয়সে প্রয়াত দীনেশ চন্দ্র রায় বেঁচে থাকলে বাংলা সাহিত্য ঋদ্ধ হতো। তার 'ঐরাবতের মৃত্যু' গল্পটি এবং 'সোনাপদ্মা' উপাখ্যানটি বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। দেবেশের কথায় দীনেশ চন্দ্র বহুভাবে এসেছেন। দেবেশ ও দীনেশ তাদের কথনবিশ্ব জুড়ে কি এক দার্শনিক বিষ্ময় ছড়িয়ে দিয়েছেন। ৩৯. আচ্ছা মানুষ কি কখনো তার দেশ হারায়!জন্মমাটি,বেড়ে উঠবার যাপনভূমি ছেড়ে তাকে হয়তো চিরতরে নুতন এক দেশে চলে আসতে হয়। সেই দেশকে নিজের দেশ করে তুলতে হয়। কিন্তু মানুষ কিন্তু আদতে তার দেশ হারান না। তিনি তার অভ্যাসে, তার শরীরের পেশি ও মজ্জায় চিরদিনের সেই দেশকেই আমৃত্যু বহন করতে থাকেন। তাকে বহন করতেই হয়।এই তার নিয়তি। হারিয়ে যাওয়া দেশের নদী, বাড়ি,পথ প্রান্তর আর লোকগান খুব নিবিড় হয়ে বইতে শুরু করে, বয়েই যেতে থাকে তার অন্তর্গত রক্তস্রোতের

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৩৬। এই উপমহাদেশের অনেক গ্রন্থ পাঠ করে করে আমি পুষ্ট হয়েছি। সেই সব বইয়ের ভেতর দিয়ে যে গহিন এক জীবনবোধ,দর্শন ও সমাজভাবনার আলো আমাকে জাপতে ধরেছে তার থেকে আমি নিজেকেই খুঁজে নিয়েছি। খুঁজে পেয়েছি।নুতন হয়ে উঠেছি। তেমন কয়েকটি বইয়ের কথা এখানে বলেই ফেলি বরং। শহীদুল্লা কায়সারের সংসপ্তক, আবু ইশাকের সূর্য দীঘল বাড়ি,পদ্মার পলিদ্বীপ, সামসুদ্দিন আবুল কালামের কাশবনের কন্যা, ওয়ালীউল্লাহের লাল শালু , কাঁদো নদী কাঁদো, শওকত আলীর প্রদোষে প্রাকৃতজন, মাদারডাঙ্গার কথা, উত্তরের খেপ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা, চিলেকোঠার সেপাই,পাপড়ি রহমানের পালাটিয়া, জাকির তালুকদারের পিতৃগণ, অমিয়ভূষণ মজুমদারের তাসিলার মেয়র, গড় শ্রীখন্ড, দুখিয়ার কুঠি,মধু সাঁধু খা, মহিষকুড়ার উপকথা, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অলীক মানুষ, অমর মিত্রের ধনপতির চর ,কিন্নর রায়ের মৃত্যুকুসুম, ভগীরথ মিশ্রের মৃগয়া, দেবেশ রায়ের তিস্তাপুরাণ, তিস্তাপারের বৃত্তান্ত, অভিজিত সেনের দেবাংশী, পিযুষ ভট্টাচার্যের তালপাতার ঠাকুমা, বিপুল দাসের ভুবনজোতের বাঘ এই কটি বইয়ের কথাই আপাতত লিখলাম। এই সকল বই-এর ভুবনে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে এক অদ্ভুত শিহরণ আমাকে বিদ্ধ করেছে

চা পাতা * ৬৫ * সম্পাদক - তাপস দাস

ছবি