পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৩৪. দেওচড়াই হাটের গানের আসর থেকে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল সখীচরণ। হাতে ধরা ছিল সেই চিরপুরাতন বাঁশিটি। তরলা বাশের বাঁশি। ছয় ছিদ্রের। এই বাঁশির আওয়াজ শুনলে পাষানের বুকেও আবেগের উচ্ছাস জাগে। খুনীর চোখেও জল আসে। এমনই এই বাঁশির মহিমা। প্রায় তিন কুড়ির দু’চার বছরের কম সময় ধরে এই বাঁশি সখীচরণের সম্পদ। দেশ দুনিয়ায়,গা-গঞ্জের সকলেই সখীচরণের বাঁশির মহিমা জানে।হাটবারগুলিতে হাটের ভেতর এই কারণেই সখীচরণের অতিরিক্ত খাতিরদারী জোটে।শিঙ্গারা, জিলিপি, চা, সিগার সব মিলে যায়। খালি একটু বাঁশিতে ফুঁকে দেওয়া, আর কি। সখীচরণের বাবা ছিল এলাকার মস্ত গিদাল। তার ছিল গানের দল। পালাগানের দল। সবাই বলতো কালুচরণের দল। জোতদার জমিদার মাতব্বরের ঘর থেকে নিয়মিত বায়না আসতো।কালুচরণ ঘুরে বেড়াতেন গঞ্জের পর গঞ্জের পরিধী জুড়ে। মাঝে মাঝে সঙ্গে নিতেন ছোট্ট সখীচরণকে।তখন শুরু হয়েছে সখীর বাঁশি বাজানোর তালিমপর্ব।সেই সময় একবার সাহেবপোঁতার সুখেশ্বর দেউনিয়ার বাসায় গানের দল নিয়ে পালা গাইতে গিয়েছিলেন কালুচরণ তার দল নিয়ে।ছিল সখীও। বাচ্চা সখীচরণের বাঁশি শুনে দেউনিয়া সখীচরণকে উপহার দিয়েছিল এই বাঁশিটি। ৩৫. তারপর কত কত দিন পার হয়ে গেল।

চা পাতা। ৬৪

ছবি
                      চা পাতা                ২য় বর্ষ ।। সংখ্যা - ৬৪                        সম্পাদকীয় রোজ বৃষ্টি হচ্ছে । মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে । অবিরাম তিন চার ঘন্টা হওয়ার পর কিছুক্ষণ থেমে পুনরায় শুরু হচ্ছে । এটাই ডুয়ার্সের চরিত্র । পুকুর খানাখন্দ ভরে গিয়ে থইথই অবস্থা । কালজানি তোর্ষা ফুঁসে উঠছে । অথচ পরিসংখ্যান বলছে উত্তরের বৃষ্টিচিত্র কমে আসছে । এবারের বৃষ্টিটা নতুন আশার সঞ্চার করছে । আসুন সবাই মিলে আরেকটু প্রকৃতির প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হই । প্রকৃতির বিরোধিতাই হয়তো পাপ । শু ভ দী প  আ ই চ বিস্ফোরণ অথবা বিস্মরণ বোমার মত ভেঙে পড়ছে বোধ ড্রেন থেকে গড়িয়ে  নাভি হেঁটে হেঁটে চোখ চুলগুলো মিশে  জঙ্গলে প্রকান্ড এগিয়ে এলে আকাশ বড় ছোট্ট নিরাময় এছাড়া আমাদের কোন রোগ নেই কিলোমিটার চটকে মেখে নিয়েছি খিদে পেটের মধ্যে মরে গেছে জন্ম একটা ঐরাবত একটা মানুষ   ------------------------------------------------------------------- প হে লী  দে ব্রেইলভূম সম্পর্কের নিচে পড়ে বৃক্ষটি ছায়া বিলোতে বিলোতে অঙ্গার হলো পাললিক একটি নদী রোজ ছুঁয়ে দেয় শিকড় তবু জ্বলে থাকে পিপাসা

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৩২. যে কোন শিল্পচর্চায় একটা দর্শন থাকে।কবি,সাহিত্যকর্মী,শিল্পী সবাইকেই সমাজভাবনা তাড়িত করে।জাড়িত করে।শিল্পী তো একটা সমাজেই জীবনযাপন করেন।তার একটা দেশ থাকে।অগনণ মানবসমাজ থাকে।দেশকালসময়কে অস্বীকার বা উপেক্ষা করে কখনই শিল্পচর্চা হতে পারে না।তাই জীবনের আলো অন্ধকার জড়িয়ে শিল্পচর্চায় একটা সজীব সমাজভাবনা উচ্চারিত হতেই থাকে।তবে,তা সবসময় প্রকাশ্যে হয়তো ধরা পরে না।অর্ন্তলীন চোরাস্রোতের মত হয়তো প্রবাহিত হতে থাকে।অনন্ত স্বর ও প্রতিস্বরের মত বুঝি বা। আসলে জীবন নিয়েই তো শিল্পসাহিত্য।জীবনই তো উঠে আসে শিল্পকর্মের মাধমে।জীবনের পরতে পরতে জমে থাকা রহস্যগুলি,স্বেদবিন্দুগুলি শিল্পমাধ্যমে তীব্র ভাবে লেগে থাকে।জীবন দেখবার এক নুতন চোখ নিয়ে পাঠকেরা নিজেদেরকে খুঁজে নিতে পারেন।দর্শনের ঘোরে এক নুতনতর হয়ে ওঠা হয়ে ওঠে পাঠকের।আমি এখানে শিল্পচর্চার সাহিত্য মাধ্যমটিকেই বেছে নিয়েছি,তাই পাঠকপ্রসঙ্গের উত্থাপন। ৩৩. আমাদের সাহিত্যের বিশাল ক্যানভাস জুড়ে আবহমানের এক কালখন্ডের যাতায়াতে কি গভীর এক জীবনবোধ খেলে বেড়ায়।সমাজভাবনার জারণ ও বিজারণ দিয়ে এক অনন্য জীবনবোধ বারবার জেগে উঠতে থাকে কালের পরিসর জুড়ে।জীবনানন্দ দাস,

চা পাতা। ৬৩

ছবি
                                 চা পাতা                         সাপ্তাহিক ব্লগজিন                       সম্পাদক- তাপস দাস    

ধারাবাহিক গদ্য

ছবি
৩০. সেই বিশ ফরেষ্ট কুড়ি নদীর পৃথিবীতে ভরসন্ধ্যেতে আমরা দেখি হেমকান্ত হেঁটে চলেছেন।হয়তো কোন নদীর খেয়া ধরতে বা ভাঙা হাটের দিকে।জনমভর এভাবেই হেমকান্তর  হেঁটে চলা।সে হলো হাটাই।কেউ যদি তাকে প্রশ্ন করে তার হাঁটা নিয়ে,হেমকান্ত তখন একথাই বলে;এই হাঁটা কিংবা মাইল মাইল হেঁটে চলাটাই তার জীবন।নদী ফরেষ্ট গঞ্জ মানুষ নিয়ে এই যে দিনদুনিয়া এই ভেতরেই সে বেঁচে থাকে রোদ, বৃষ্টি আর মেঘের মতন। একটি সরকারী কাজে শীলতোর্সার উজানে হাতিডোবার চরে এক জুন দুপুরে হেমকান্তর সাথে দেখা হয়ে যায় রতন মল্লিকের।অদ্ভুত এই মানুষটি রতনের নজর কেড়ে নিয়েছিল।হেমকান্ত  রতনকে জানিয়েছিল সেই কত কত বছর আগে,তখন কোচবিহারের মহারাজা স্বয়ং শিকারে আসতেন এই কুড়ি নদী বিশ ফরেষ্টের পৃথিবীতে;মহারাজার হাতি ডুবে মরেছিল এখানে।সেই থেকে এটা হাতিডোবার চর।অনেক বছর বাদে হেমকান্তকে নিয়ে একটা গল্প লিখে পুরস্কার পেয়েছিলেন রতন মল্লিক। ৩১. জীবন জুড়ে গল্পের পর গল্পের ঢেউ।সেই সব ঢেউয়ের ওপর ভাসতে থাকে সমস্ত দেখা ও না দেখাগুলি।আমার কবিতার জোতজমিতে খুব একার এক একাকীত্ব রয়েছে।আসলে কবিতা তো চিরকালীন এক আবহমান গান হয়েই ঘিরে রাখে একজন কবিকে।ইথার তরঙ্গের ম্য

চা পাতা।। ৬২

ছবি