পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
আমার কবিতাজীবন : নদীতে মিশে যাওয়া কান্নার জীবন ৭. অনেক অনেক বছর আগে একটা সাহিত্যের আসরে গিয়েছিলাম তরাইএর এক শান্ত জনপদে।সেখানে পরিচয় হয়েছিল রণেন বাবু,কল্যাণ দে, নৃপেন বর্মণ দের সাথে।তখন সদ্য লিখতে এসেছি।পরিচয় ও বিনিময় হচ্ছে কত কবি,সাহিত্যিকের সাথে।কত ছোট পত্রিকার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠবার পর্ব তখন।নৃপেন বর্মনের সাথে পরদিন চলে যাই ওর গ্রামের বাড়ি।নৃপেন আমার বন্ধু হয়ে ওঠে।নৃপেনের বাসা ভর্তি বই এর পত্রিকার সবিপুল সমাবেশ।সারা বাংলা ভাষায় কত তরুণের বই পেলাম সেখানে।জানতে পারলাম।নৃপেনের সঙ্গ আমার স্বপ্ন ও ক্ষিধেকে উস্কে দিল।আমি বাংলা কবিতার ভেতর খুব ঢুকে পড়তে থাকলাম গুড়ি মেরে।নৃপেন ঘুরিয়ে আনলো টুকুরিয়ার জঙ্গল।আমাকে শোনাতে থাকলো কানু সান্যাল ও জঙ্গল সাঁওতালদের গল্প। ৮. 'সুপুরিগাছের মাথা থেকে সরে যাওয়া রোদ                                               আমার প্রেমিকা' পৃথিবীতে কত মানুষের ডাকনাম নেই। আমার কান্না দেখে ফেলে পুকুরের হাঁস অথচ ভাঙা বিষদাঁত নিয়েই বেঁচে থাকে কত                                                     মানুষ আমি সর্বাঙ্গে পাপ মাখি। বালুচরে শুকিয়ে যাওয়া রক্তে

চা পাতা। ৫১

ছবি
  চা পাতা । ২য় বর্ষ । সংখ্যা ৫১ স  ম্পা  দ  কী  য় সব মঞ্চই সমান। সেটা কলকাতার হোক বা কুচবিহারের। সরকারি হোক বা বেসরকারি। তবে কতজন শ্রোতা বসে কতটা মনযোগ দিয়ে শুনছেন সেটাই বিষয়। কতজন নিজের লেখাটি পড়ে টুক করে সরে যাচ্ছেন সেটাও বিষয়। রাজধানী শহরের মঞ্চে দাঁড়িয়েই লম্বা চওড়া করে কৃতজ্ঞতা পুষ্প অর্পন করার কোন মানেই হয় না। অনেক অগ্রজেরাই অন্তত পাঁচজন তরুণকে তাঁদের দলে চান ওই পাঁচজনকে নানাভাবে প্রশংসা করেন বছরের পর বছর। ওই পাঁচজন খুব তাড়াতাড়ি বৈতরণী পার হওয়ার সমস্ত মন্ত্র আত্মস্থ করে ফেলেন। সৎ থেকে ভুল করা ভাল।  সৎ থাকতে পারাটাই একটা বড়সড় পুরস্কার। কবিতা পাঠ শেষে শ্রোতাদের আহা করে ওঠাটা পুরস্কার। পাঠকের চোখ থেকে মননে ঢুকে যাওয়াটাই পুরস্কার। অন্যের চোখ দিয়ে কবিতা পড়বেন না।  অমুক কবি ওনার কবিতাকে ভালো বলেছেন বলেছেন বলে আপনাকেও তাকে ভালো বলতে হবে এমন কোন মানে নেই।  নিজের চোখ দিয়ে পড়ুন। নিজের মাথায় রেখে হাত বুলিয়ে দেখুন কতটা সয় আর কতটা র‍য়।  আপনার সৃষ্টি পাঠকের হাতের ঘাম চায় ময়লা চায়। আর কিছুই নয়। শীত-কাহন                      মধুমিতা  চক্রবর্তী    এই যে এত শীত শী
ছবি
আমার কবিতাজীবন : নদীতে মিশে যাওয়া কান্নার জীবন ৫. চিলাপাতার জঙ্গল থেকে মথুরার ভরা হাট থেকে জার্মান রাভার ঢোলের পাশ থেকে খোকা বর্মনের সানাই থেকে বারবার তীব্রভাবে উঠে এসেছে আমার কবিতা।আমার জীবন নিয়ে কত কত বার ডুবে গেছি উত্তরের সব ও সমস্ত আঞ্চলিক নদীতে।ঘন ঘন প্রেমে পড়েছি।ভাঙা প্রেম থেকেই উঠে এসেছে চিরুণী ও আয়না।কবিতাজীবন আসলে পাখির শিস।আর সাইকেলের চেনে নিউট্রামুলের গন্ধ।কবি বেণু দত্ত রায়ের কাছে শুনেছিলাম পুরোন ডুয়ার্সের গল্প ও গাঁথা।কাঠের বাড়ি।শীতের রাতে বাঘ জল খেতে আসতো উঠোনে।কবি সনৎ  চট্টপাধ্যায়ের কাছে শুনেছিলাম কারিয়া মুন্ডা আর একোয়া ওরাও-এর বাঘের সাথে মল্লযুদ্ধের গল্প।এইভাবে বিচিত্র এক ক্যানভাসে জুড়ে বসতে থাকে আর শিমুল তুলোর মত উড়ে আসতে থাকে কবিতারা, না সারা অসুখের মতন। ৬. 'গমখেত ছুঁয়ে কি তীব্র হচ্ছে শীত। বিপর্যয় সামলে নিই।তারপর আবার দেখা হবে                                                       আমাদের। সাইলেন্স নেমে আসা পৃথিবীতে রক্তে চিনি বেড়ে যাওয়া মানুষেরা ঘুরে                                                   বেড়াচ্ছে ভরা হাটে পুতুল কিনি। সরষেরঙের সানগ্লা