পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চা পাতা * ৭৫

ছবি
  সম্পাদকীয় আমরা অসুখ পর্বে অনেকটা পথ অতিক্রম করে ফেলেছি । বদলে গেছে আমাদের প্রতিদিনের যাপন, আচার-আচরন আরো অনেক কিছু । অসুখ কাম্য নয় তবে অসুখ পরবর্তী সময়ের এই যে মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তন এটার হয়তো প্রয়োজন ছিল । হ্যাঁ দিন আনি দিন খাই মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে । তারা কবেই বা ভালো ছিল । তবু ভালো করে ভেবে দেখলে মনে হয় ওরাই ভালো আছে । কবিতা সঞ্চালিকা আচার্য পৃথিবীতে কত অদ্ভুত জন্ম হয় স্বপ্ন এঁকে রাখতিস রুলটানা খাতায়। দরজার পাশে থমকানো সে একরত্তি খাতার ওপর কত রাজত্বের উত্থান-পতন। বুকমার্ক জুড়ে জলদাগ। জল বইছে লিসে, কত জল যে বইলো। ওইপারে শৈশব। এখন আমি যা জানি, ও তা জানে না। জানলে ভালো হত। তারপর চোরাটান। ত্বক ও কান। আবেগবাগান। ঠোঁটশৈলী জানাতে উড়ে যায় সবুজ ম্যাগপাই। জলপাইপাতায় বৃষ্টির নরম নেই, গাড়ির সাঁতার দেখে গায়ে কাঁটা। সুখতলা বেয়ে ঠাণ্ডা উঠে আসে। ডান খাঁজে শুধু বাঁ-হাঁটুর উষ্ণতা। স্টারডম থেকে কুড়ি ফিট, মাইক্রোওয়েভে বিপ বিপ বিপ। মৃদু নড়ে ম্যাজেস্টিক পাম। পুরাতন উই বুঝে যায় দরজার পাশে থমকানোর মানে। রোদ্দুর জানে এইসব অভিমান, জ্যোৎস্নাও তার কিছু কিছু জানে। দেবব্রত দাস চোখ থেকে ঝ
ছবি
 ৫. অনিমেষ ভাবে।তাকে ভাবতেই হয়।কত কত স্মৃতির তাড়সে তাকে তাড়িত হতে হয়।এত বছরের কবিতা লিখবার জীবনে কত অভিজ্ঞতা অনিমেষের কবিতা জীবনকে ক্রমে বদলে বদলে দিয়েছে।ভাঙা সম্পর্ক থেকে সে কেবল তুলে এনেছে সাঁকো কিংবা শালবনের কবিতাগুচ্ছ।নুতন কলমের প্রতি চিরদিনের আগ্রহ তার।নিজে পাশে দাঁড়িয়ে তরুণ কলমকে স্বাগত জানিয়েছে চিরকাল সে।সে তো চিঠির যুগের স্মৃতিজড়ানো মানুষ।শুরুর দিনগুলিতে তেমন কোন অগ্রজর স্নেহের হাত তার পিঠে পায় নি।চারপাশের দেশ দুনিয়া আর গঞ্জ হাট তাকে শিখিয়েছে। পুষ্ট করেছে।দাউদাউ এক আগুন ছুঁতে ছুঁতে আজ অনিমেষ সামান্য হলেও একটা নিজের দাঁড়াবার জায়গায় এসে পৌঁছেছে।তাই সে বোঝে নুতন কলমের অসহায় এক আশ্রয়হীন পরিসর টুকুর কথা।বড্ড আবেগ আর নিঃশর্ত এক আকুতি নিয়ে তরুণ কবির ভুবনকে দু হাতের দশ আঙুল দিয়ে প্রবল স্পর্শ করতেই চে য়ে ছে অনিমেষ।কিন্তু এই আবেগ তাকে কষ্ট দিয়েছে।হাহাকার দিয়েছে। ভয়াবহ এক বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।তার মনে পড়ে,বছর দশ আগে সুনেত্রা এসেছিল। মেয়েটির কবিতায় এক প্রখরতা ছিল।আগামীর সম্ভাবনা অনিমেষ দেখতে পেয়েছিল সুনেত্রা র কবিতায়।সুনেত্রা অনিমেষের পরামর্শ প্রত্যাশা করেছিল।কব
ছবি
 ৩. একা একা হাঁটতে হাঁটতে অনিমেষ কেমন দূরাগত হয়।স্মৃতির গোপন কুঠুরি থেকে গত জন্মের রহস্যময় বাতাস তাকে জাপটে ধরে।কিছুই তখন আর করার থাকে না।সে দেখতে পারে গোলক গঞ্জের কলেজ মাঠে জুলুস। রংবেরঙের মানুষের ভিড়।মাইকে বাজতে থাকা গোয়ালপাড়া অঞ্চলের গান।কি এক আগ্রহে সে ক্রমে ঢুকে পড়তে থাকে সেই জমায়েতের ভিতরে। সে ছিল ভোটের সভা।ইয়াকুব গিদাল এবারো ভোটের ক্যান্ডিডেট।দুই দুইবারের বিজয়ী এম এল এ  তিনি।লোকগানের লোক।গান লেখেন।দোতারা বাজিয়ে গান গান।আর মরুচমতি শিল্পী সমাজের মহিন মাস্টারের সাথে ঘুরে বেড়ান জনপদের পর জনপদ।ইয়াকুব গীদাল কেন জানি না কখনো ইয়াকুব এমেলে হতে পারলেন না। কোনো ভোটেই তাকে ভোট চাইতে হয় না।তার কোন ভোট প্রচার নেই।তিনি কেবল জুলুসের পর জুলুস গানে গানে ভরিয়ে দেন।মানুষ গান শুনতে শুনতে মাতোয়ারা হয়।আবার নেচেও ওঠে দু চার পাক। কোন জুলুসের জনমানুষেরা তাদের ভেতর ফাউ হিসেবে পেয়ে যায় আব্দুল জব্বার কিংবা কেরামত আলীকে।বাতাসে গান ভাসতে ভাসতে চলে যায় গঙ্গাধরের দিকে,মুন্সী বাড়ির বাহির খোলা নের  দিকে_ "চাষার মুখত আর নাইরে সেই গান  বড় সাধের বাপ কা লা নি আমার ভাওয়াইয়া ভাসান"।  অনিম

চা পাতা * ৭৪

ছবি
সম্পাদকীয় 'কবি' শব্দটায় আলাদাই এক জ্যোতি আছে। আলাদাই এক মহিমা।  তাই কোন কবির নামের আগে কবি শব্দটি ব্যবহার করে ফেলার পর তার অধ্যাপনা বা ডক্টরেট এর উল্লেখ তেমন চকমকে হয়না। আমরাও মনে মনে বোধহয় খানিকটা বিরক্ত হই। 'কবি - অধ্যাপক অমুক মিত্র' যদি পরিচয় দেওয়ার স্টাইল হয়, তবে 'কবি- কৃষক, কবি- ম্যাকানিক অমুক ঘোষ' বলাই বা হবে না কেন। কবিতার দিক থেকে কবির পরিচয় যখন এক লাইনের অধিক হয়, তখন তার অন্যান্য যোগ্যতা বা অর্জনের পরিচয়গুলির ব্যবহার  বেশি যথাযথ বলে মনে হয়। যাইহোক আমি ভাষা বিজ্ঞানী নই, যা মনে হল লিখে দিলাম । আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে আমার ভুলটা নিশ্চই  ধরিয়ে দেবে । কবিতা মনোজ পাইন চল্লিশ পেরোলে          সে এসে আমাকে  স্বস্তি দিল। উঠান জুড়ে দাপাদাপির আগেই তাকে সটান টেনে নিয়েছি ঘরে। কোথায় বসাবো তাকে? দিকভ্রান্ত নাবিকের দশা আমার! বৌকে এড়াবো বলে একবার ভাবি পুরানো দেরাজ খুলি! সেখানে তখন শীতের কম্বলে ঠাঁসা। ভাবলাম তাকে নিয়ে চুপিচুপি কেটে পড়ি নির্জন পাহাড়ের রির্সটে। কোথায় যে রাখি এই স্বস্তিদায়িনী মেয়েটিকে? আসাঢ়ের মেঘসকল ওর পিছুপিছু ঢুকে পড়েছে আমার ঘরে। আমার বৌ ওদের হাত

চা পাতা * ৭৩

ছবি
 সম্পাদকীয়  কবিতার প্রান্ত কবিতার কেন্দ্র,  কেউ আবার এই বিষয়গুলো একদমই মানেন না। তাঁরা মনে করেন যে যেখানে বসে লিখেছেন সেটাই তার কেন্দ্র। যে লিখছে তার কেন্দ্রবিন্দু সে নিজেই। কারো ঠিক করে দেওয়া  মানচিত্রের কারনে কেউ কেন্দ্র বা প্রান্তের বাসিন্দা হতে পারে না। তবু ভৌগোলিক কারনে, উৎপাদিত সাহিত্য  বিপননের সুবিধার্থে , আর খানিকটা ক্ষমতা ব্যবহারের  কারনেও রাজধানীর কবিরা নাকি কেন্দ্রের কবি, অন্যরা প্রান্তের। নতুন লিখতে আসা কবিটি যখন এইসব প্রথমবার শোনে, একদম চুপ করে শোনে। বড্ড বালি পাথর আর চুনকাম চুনকাম হয় । এর থেকে দূরে থাকা অনেক ভালো। নির্জন, একা, তর্কহীনভবে. কবিতা   চল্লিশের কবিতা   রাজদীপ ভট্টাচার্য     ১   চল্লিশ পার হলে নদীর ওপার দেখা যায়। এতদিন সবার মুখের ঝাল খেয়ে যে ছবি উঠেছিল ক্যামেরায় আজ তাকে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যেতে দেখি চোখের উপর। মনে পড়ে নদীতে নামার আগে ভয় ছিল , রোমাঞ্চ। তারপর সাঁতার জীবন। জলের দাগ পড়ে গেল সারা গায়ে। বালি কাদা নুড়ির হুল্লোড়। অনেক ঘাটের জল। কলসীর ভিতরে আঁধার। কখনো ক্লান্তি এলে শুয়ে থাকে নিরামিষ