পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চা পাতা।। সংখ্যা - ৪৭

ছবি
  সা হিত্য ভালোবাসার জন্য। ভালোবাসাকে বর্ণনা করার জন্য।  আমাদের কবিতাতুতো ভাই -বোন , দিদি ,দাদার পাশাপাশি  কবিতাতুতো শত্রুর সংখ্যাও রোজ বাড়ছে। আড়ালে বিদ্বেষ নিয়ে ঘুরছে অনেকেই । একটু সু্যোগ পেলেই আপেলটিই ছুঁড়ি হয়ে গেঁথে যাচ্ছে সযন্তে আগলে রাখা নরম স্থানে। কেন,  কেন এরকম হচ্ছে! এত ক্ষোভ বিক্ষোভ কেন? কবিতাই তো লিখি। এত লোভ কেন ! লোভের পরিতৃপ্তি না না ঘটার জন্যই কি এসব ? চলুন না সৃজনের ভারে হেলে পড়ি মাটির দিকে। উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় জবানবন্দি চিৎকার দিয়ে কথা বলার ভেতর  জন্ম নিচ্ছে অনুশাসন স্বাদ নিজেদের সংগঠিত করবার যুক্তি যদি এমন হয় মানুষের পেটের ভেতর উত্তাল কাশ্মীর কিংবা ছুটতে থাকা রোহিঙ্গারা কিংবা সেইসব বিধ্বস্ত মাতৃভূমি আমাদের প্রশ্ন তুলতে হয় হে মহান সেনাপতি ! পৃথিবী আর কতদিন ঘুমিয়ে থাকবে সভ্যতার শীতল হৃদয়ে ? ------------------------------------------ দুটি কবিতা  হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়  ট্রেন ছেড়ে গেলে প্রতিটি ট্রেন ছেড়ে গেলে  স্টেশনের ক্যানভাসে  একটু একটু করে রঙ ধুয়ে যায় কথা বলতে বলতে কথারা সরে আসে অনেকটা শরীর গ

চা পাতা।। সংখ্যা - ৪৬

ছবি
সম্পাদকীয় চা পাতা আর কিছুদিনের মধ্যেই একবছর পূর্ন করতে চলেছে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছে চা পাতা। অন্যান্য অনলাইন পত্রিকার মতো লাইক, কমেন্ট, শেয়ার পায়নি এই পত্রিকাটি কিন্তু তরুণ কবিরা প্রাণ ভরে লিখেছে এই পত্রিকায়। অনেক অগ্রজ পত্রিকাটির প্রশংসা করেছেন,  পাশে থেকেছেন শুরু থেকেই। আপনারা পাঠকের সংখ্যাও বেড়েছে দিনদিন।  এই আনন্দের জন্য এতকিছু।    বাজো জাগ্রত নব কুমার পোদ্দার  শার্সি বরাবর জীবন তাতে হোঁচট খায় ক্লাউন; ভাঙাআলো রান্না হয়।  মহব্বতপুরের দেওয়াল ঘেসে একঘেয়েমি মরাকান্না। যদি প্রকাশ্যে আসে শুঁয়োপোকা? কী হবে বারান্দার ম্যাজিক ফিগার... প্রজাতন্ত্র শুভদীপ আইচ কিছু ঘূর্ণাবর্তে আমি রেখে গেছি মোহ ,মায়া,আর কামিনী কাঞ্চন এ বিশ্ব আসলে পুরোনো একটা  ভাঙা সাইকেল যার তাপ্পি লাগানো টায়ার এ চেপে আমরা স্বপ্ন দেখি দেশ গড়ার । আবিল মন্দিরা ঘোষ সংকোচ  আছে আছে চাওয়ার সারি মাটির গন্ধের মত মায়া পিছু পিছু স্পর্শের সারণি ছুঁয়ে  নিঃসারী স্রোত চোখের ভেতরে  নামে  নরম সহজ ঝুরো ঝুরো বৃষ্টির তাতে তুমি আমি শুদ্ধ ফেনায় মাতি চেয়ে চেয়ে দূরকে কাছে

দোতারা।। ত্রয়োদশ পর্ব

ছবি
'ও কি ও প্রাণনাথ আইসো আইসো রে প্রাণনাথ বৈস' এই লোকনাটকের দেশ,এই মদনকাম বিসহরা সাইটল কুশানের দেশ আমাদের উত্তর জনপদ।লোকগানের সুরে সুরে দুলে ওঠা এই ভূখণ্ডের মাটি মানুষ বাতাস।পূর্বজদের ধারা অনুসরণ করে নুতন প্রজন্ম চর্চা জারি রেখেছেন আমাদের বর্ণময় লোকসঙ্গীতের।দিনে দিনে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের লোকগান।আমাদের অহংকার। হিমাদ্রী দেউড়ি।পেশায় শিক্ষক।এই তরুণ ভাওয়াইয়া সংগীত নিয়ে প্রবল যত্নবান।তার কণ্ঠের জাদু,মাধুর্য আর কারুকাজ গানকে পৌঁছে দেয় এক অনন্য উচ্চতায়। বাড়িতে ছিল গানের পরিমণ্ডল।বাবা লোকগানের সাথে ওতপ্রোত জড়িত।দিদি জয়শ্রী নিজে খ্যাতনামা শিল্পী। ভাওয়াইয়া নিয়ে হিমাদ্রীর স্বপ্ন আর শ্রম আর নিষ্ঠা আমাকে তীব্র চমৎকৃত ও চমকিত করে।আমি মুগ্ধ হই উত্তরের কৃষ্টি নিয়ে এই তরুনের নানান কর্মমুখরতা। হিমাদ্রী দেউড়ি,এক তীব্র স্বপ্নের নাম।
ছবি
নবীন লেখক বনাম প্রকাশক  শৌভিক রায় বই। ঝকঝকে কাগজে কালো অক্ষরে মুদ্রিত শব্দেরা, তকতকে প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদে বইটির নামের নিচে লেখক বা কবির নাম। একজন নবীন লেখক এই স্বপ্নটা বুকে পোষেন লেখা শুরু করার প্রথম দিনটি থেকে যে, তার নিজের অন্তত একটি বই হবে। বাঙালিদের সম্পর্কে একটি কথা চালু রয়েছে। প্রতিটি বাঙালিই নাকি জীবনে কোনো না কোনো সময় টিউশন করেছেন ও কিছু না কিছু (বিশেষ করে কবিতা) লিখেছেন। লেখালিখির পর্বটা যারা একান্তই ছাড়তে পারেন নি, তারা আর একটু এগিয়ে বই-প্রকাশ অবধি গেছেন। বই নিয়ে আমরা এতটাই সংবেদনশীল যে, তথ্য প্রযুক্তির এই বিস্ফোরণের যুগেও বই আমাদের প্রথম পছন্দ। অথচ আজ লেখা প্রকাশ করা নিয়ে আগের মতো সেই সমস্যা নেই। একটি মাত্র 'ক্লিক' বা 'টাচ'-এ ইন্টারনেটের সাহায্যে মুহূর্তে লেখা প্রকাশ করা যায় ব্লগ, ওয়েব ম্যাগাজিন, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদি নানা জায়গায়। আর এইসব জায়গায় প্রকাশে কেবলমাত্র নেট সংযোগ ও কমপিউটার বা স্মার্ট ফোনে লিখতে জানলেই হ'ল। প্রকাশিত লেখা অতি দ্রুত নেট-বাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। প্রকাশককে পান্ডুলিপি পাঠানো, প্রুফ দেখা, মুদ্রণ, দুরুদুরু

চা পাতা।। সংখ্যা - ৪৫

ছবি
স ম্পা দ কী য়    এখন সারামাঠে হেমন্ত। রোদের রঙের সাথে পাকাধান রঙের আশ্চর্য বন্ধুত্ব। বিচিত্র পোকারা নেচে বেড়াচ্ছে ধানের ওপর।  অপূর্ব এক গন্ধ, এক মায়ার মধ্যে চাষিরা কাস্তে হাতে মাঠে যাচ্ছে। তাদের স্ত্রীরা স্টিলের গামলায় আলুভর্তা আর ভাত নিয়ে গামছায় বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন খাওয়াতে, আলে বসে খাচ্ছেন চাষি। ধান ও রোদের আলোয় প্রিয়তমা কিভাবে লক্ষ্মী হয়ে উঠছে লক্ষ্য করছে খেতে খেতে। ঘাম মুছে দিচ্ছে স্ত্রী। যেন ক্লান্তির পাশে জবাফুল, ঘামের সাথে প্রেম। উদ্দ্যেশ্য জগতের কল্যানসাধন।    প্রকৃতজন পহেলী দে কবি গেল আশ্বিনে আপনার অতিথি হবার তুমুল ইচ্ছা হয়েছিল মনে। আপনাদের ফড়িং রঙে সাজানো নানান ঢঙের কাব্যাসরে নাগরিক কবিদের উপচে পড়বার উল্লাস দেখে, আমারও বাসনা জেগেছিল শরতের নীলে মেঘের মত গা ভাসাতে, কাশফুলের ঝোপে লুকিয়ে প্রেমিকা মনে আশঙ্কা হতে। মঞ্চের জমকালো আলোয়, উজ্জ্বল চোখ দেখে বিশ্বাস করুন, আমি আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। অবশ্য হাত পা কিছুই ভাঙেনি। বাতিঘরের একজন বইকর্মী কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনন্তবার অনুভব করেছে আপনার লাবণ্য। একান্তের নির্জনতা বিনিময় করেছে ক্যান্ডেল লাইটের রোম

দোতারা।। দ্বাদশ পর্ব।।

ছবি
'ও মুই হাট ঘুরুয়া মানসি ও মুই তিস্তাদ্যাশের মানসি' কয়েক বছর আগে জল্পেশের ভরা হাটের পাশের খুলিতে একজন প্রায় অন্ধ সারিন্দাবাদকের বাজনা শুনে চমকে উঠেছিলাম।নিজের মনে আর একাগ্রতার তিনি বাজিয়ে চলছিলেন।আর তুলে আনছিলেন উত্তর জনপদের কত কত লোকগান।তিনি যখন সারিন্দা বাজাতে বাজাতে গাইছিলেন- 'বটবৃক্ষের ছায়া যেমন রে মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে কুনদিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে' কিংবা- 'ও তুই কিসত গোসা হলু রে নালবাজারের চেংড়া বন্ধু রে' অথবা- 'বরণী ধানের ভাজিলুঙ খই প্রানের বন্ধু মোর আসিলেন কই' তাকে ঘিরে ছোটখাটো একটা  ভিড়।একটা স্তব্ধতা।দূরাগত তিস্তার হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে উত্তরের ভুমিলগ্ন মানুষের সম্পদ লোকগান। এই শিল্পীর নাম পোয়াতু বর্মন।ময়নাগুড়ির এক প্রান্তিক জনপদে বসবাস তার।এক হাট থেকে ছুটে বেড়ান আরো আরো হাটে।লোকগান নিয়ে।মানুষ মগ্ন হয়ে শোনেন সেই সব গান।হয়তো আশ্রয় খোঁজেন। পোয়াতু বর্মন গান শিখেছেন তার ঠাকুরদাদা ও বাবার কাছে।চেংড়া বয়সে পালাগানের দলে দোতরা বাজিয়ে নাচতেন।লোকগানের নেশাই তাকে লোকগানের বৃত্তে ঠেলে দিয়েছে। কঠিন অসুখ তার আশি শতাংশ দৃষ্টি কেড়ে