পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
 ৭। জীবনের বহুস্বরিক কালখন্ডে সব যেন থরে থরে সাজানো থাকে।অনিমেষ তার এত এত দীর্ঘ জীবন দিয়ে সম্পর্কের নানান স্তরগুলিনিয়ে খুব ভাবে।ভাবতেই থাকে।আসলে কোন সম্পর্কই কিন্তু নষ্ট হয় না।প্রতিটি সম্পর্ক আসলে অর্জন।সব সম্পর্ক থেকেই ঠিকড়ে বেরিয়ে আসে অদ্ভূত এক আলো,যা সমস্ত জীবনে নিজের মতন করেই থেকে যায়।এই পঞ্চাশে এসে মাঠ প্রান্তর শহর শহরতলী দিয়ে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে আজকাল অনিমেষ তার ফেলে আসা সম্পর্ক গুলি নিজের মতন সাজাতে সাজাতে জীবনের মজা ও ম্যাজিকগুলি নির্মাণ ও বিনির্মাণের খাঁজে ঢুকিয়ে দিতে থাকে।তার ঠোঁটে সেসময় চিলতে হাসি ও নিরিবিলি খেলা করে। কত নারী এসেছে অনিমেষের সমস্ত জীবনভর।তার খুব মিঠু দিকে মনে পড়ে,বুড়ি দিকে মনে পড়ে,সোনাদিকে মনে পড়ে।কোহিনুর চা-বাগানের বেবী ওড়াও কে মনে পড়ে।জীবনের এক পর্বে এরা ঘিরে ছিল অনিমেষের জীবনকে।কত কত দিন এরা কেউ আর এই পৃথিবীতে নেই!কিন্তু অনিমেষের জীবনের গুহাগাত্রে তারা কিন্তু খুব নিবিড় হয়ে রয়েই গেছে। বাল্যে জটিলার সাথে সখ্যতা জমেছিল।তার বাল্যবান্ধবী ছিল ভজন।খেলার সাথী ছিল গায়েত্রী।সে এক নদীঘেরা দ্বীপ শহরের জীবন ছিল।হারিয়ে যাওয়া সেই নারীদের প্রায় ৩০ বছর পরে আবার অনিমেষ খুজে

চা পাতা ৭৬

ছবি
 
ছবি
 

চা পাতা - শারদ সংখ্যা

ছবি
 
ছবি
  প্রেমিজন্মে আর হাসুয়া চাঁদ : কলমচির দপ্তর                                          অনেক কথা হয়েছিল মনের ভিতর। অথচ তাদের মধ্যে বহুজন হারিয়ে গেল। হারিয়ে গেল, কারণ থাকার কারণগুলোও ছিল মনের ভিতর। ঘটনা ঘটছে বাইরে, আর সেই ঘটনার ফলটাও আমরা অভিনয় করে দেখাচ্ছি বাইরে। অর্থাৎ, বলা যায় যে ঘটনা আর ঘটনার পরবর্তী ফল সবটাই মনের ভিতরের ঘটনা। তাদের ঘটমান তার স্থান মন নয়, তবে তারা পুরোটাই ঘটে মনেরই কারণে।         যাইহোক, মন আর ঘটনা এই দুটো শব্দ নিয়ে শব্দ নিয়ে প্রচুর শব্দ খরচ করলাম। তবে এটাই স্বাভাবিক। একটা মেয়ে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, অথচ পুরুষ তাকে দেখে সুন্দর বা অসুন্দর কিছুই না বলে চুপ করে থাকবে এটা কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মনে হলেও, সবসময়ে সুস্থতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচ্য নাও হতে পারে। অবশ্য এর কারণ এই নয়, পুরুষ মাত্রেই সমালোচনাধর্মী, বরং এর কারণ এটা বলা চলে যে মানুষ মাত্রেই বিশ্লেষণধর্মী। এই বিশ্লেষণধর্মী স্বভাব থেকেই আমরা শুধুই কবিতার রস আস্বাদন করি না, বিশ্লেষণও করি।        সমালোচনা হোক বা বিশ্লেষণ, শুভদীপ ঘোষের 'প্রেমিকজন্ম আর হাসুয়া চাঁদ' আমাদের এক অন্য জার্নির মধ্যে দিয়ে নিয
ছবি
  দেবজ্যোতি রায়  নাঃ, নেই, যা সবে সন্ধ্যা ৭ টা। আজ একটু তাড়াতাড়ি কুয়াশা পড়তে, শীতটা এবারে জাঁকিয়ে নামবে মনে হচ্ছে। আমি আনমনে রাস্তা দিয়ে...রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান, বাপির দোকানে কেউ আর আজকে আসবে মনে হচ্ছে না। এর চেয়ে বাড়ি ফিরে ছিপি খুলে, আমার পা আমাকে বাড়ির দিকে টানতে শুরু করল। পথবাতিগুলোকেও বেশ ম্যাড়মেড়ে। কুয়াশার ভেতর একবার ঢুকে যাচ্ছি, পরমুহূর্তেই দূরে সরে যাচ্ছে, যেন আলিঙ্গন ও বিচ্ছেদ দুটোই সমানতালে। ছিপি ডাকছে। বলছে এস, খোলো, পান করে জমাও এ শীতরাত্র। তারপর রাত্রির শরীর থেকে সবটুকু, ওকে জড়িয়ে খাটে নিদ্রা যাও। এটুকুই তো জীবন কালীপ্রসন্ন ! আমি বিয়ে করিনি। শরীর জাগতে চাইলে নিরাময়ের ভিন্ন রাস্তা খোলা আছে। কে আর হৃদয় খুলে সংসারে জড়াতে চায় ! আমি অন্তত নই। সংসারের শুভ দিনের আয়ু তো মাত্র একবছর। তারপর যা পড়ে থাকে সেসব আর বলতে ! পারস্পরিক দোষারোপ, কে কাকে কতটা ঠকিয়েছে, ইত্যাদি। অবশ্য সন্তানের কপালে চুমু খাবার ইচ্ছে যে জাগে না তা নয়। আমি তাকে কষ্টে মেলাই। এই ভাল, এই বেশ আছি।  চোখে মায়া মায়া দেখছি। যেমন আমরা বলি ছপ্পড় ফারকে, তারই বিপরীতে এক্ষেhত্রে ভূমি ফারকে, মানে মাটি ফুঁড়ে, হঠাৎই আমাকে ঘিরে কু

গদ্য * সঞ্চালিকা আচার্য

ছবি
  সঞ্চালিকা   আচার্য অর্ধেক দেবী , অর্ধেক   ডাকিনী   " বিচিত্রখট্বাঙ্গধরা নরমালাবিভূষণা । দ্বীপিচর্মপরিধানা শুষ্কমাংসাতিভৈরবা। । অতিবিস্তারবদনা জিহ্বাললনভীষণা । নিমগ্নরক্তনয়না নাদ্যপূরিতদিঙ্মুখা।। "   ইন্দোনেশিয়ার বালিদ্বীপের দেনপাসার   আন্তর্জাতিক   বিমানবন্ দর থেকে বাইরে পা দিয়েই এক করালমূর্তি দর্শনে ' দেবীমাহাত্ম্যম্ '- এর এই পঙক্তিগুলিই মনে পড়ে গেলো।   ভীষণদন্তা , লোলজিহ্বা ,  দীর্ঘ নখ , উন্মুক্ত স্তন , কটিদেশ ব্যাঘ্রচর্মাবৃত , জটাধারিণী   এই মূর্তিটি ইন্দোনেশীয় লোকদেবী ‘ রাংদা ’ র। শুধু বিমানবন্দর নয় , সমগ্র বালি ও পার্শ্ববর্তী লম্বক দ্বীপ জুড়ে রাংদার অজস্র মূর্তি ছড়িয়ে রয়েছে। কোথাও প্রাচীন পাথরের , তো কোথাও কাঠ কিংবা সিমেন্টের। এই দেবীকে ঘিরে বহুলপ্রচলিত কাহিনিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আখ্যানটি হলো এইরকম ―   জাভার রাজকুমারী মহেন্দ্রদত্তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিয়ে দেওয়া হয় বালির রাজা উদয়নের সঙ্গে। কিন্তু সন্তান উৎপাদন ছাড়া আর কোন ভূমিকা তার ছিল না। অপ্রেম ও অসম