ধারাবাহিক গদ্য
২৮. আষাঢ়ের আকাশ জুড়ে থরে থরে সাজানো মেঘের দলা।সেই মেঘ ও হাওয়াভরা আকাশের প্রেক্ষিতে কেমন এসে পড়ে বক্করের ঘোড়ার গাড়ি।আর সেই সজল চোখের সাদা কেশর ও তামাটেবর্ণ ঘোড়াটির ছুটে চলা আপনমনে,এ এক মায়ামেদুর দৃশ্যপট রচনা করে ফেলেই বা যেন।শালকুমার নাথুয়া কালপানি দেবির হাট আরো কত কত হাটগঞ্জের ধুলো ওড়াতে ওড়াতে বক্কর তার তামাটে ঘোড়াটিকে নিয়ে পরিক্রমণ করতে থাকে।এ এক চিরায়ত দৃশ্যখণ্ডই তৈরী করে ফেলে যা অগনণ মিথের সায়রে প্রান্তিক জনমানুষের ঘুম ও জাগরণে মিশে যেতে থাকে।মেঘলা আকাশের নিচ দিয়ে যেতে যেতে বক্করের শরীরে দুলুনি চলে আসলে সে তো আর নিজেকে গোলমরিচের বস্তার আরালে লুকিয়ে ফেলতে পারে না!সর্বঅঙ্গে তাই গান জড়িয়ে নিতে থাকে বক্কর,নিজেকে গানের খুব ভিতরে প্রবেশ করাতেই থাকে বুঝি বা- ‘চলে রে মোর ঘোড়ার গাড়ি রে ফাঁকা রাস্তা দিয়া আরে নউদারি নাইয়রিগুলান দেখি থাকে চায়া রে’ ২৯. জটিলার কথা খুব মনে পড়ে সোমেশ্বরীর।তার বাল্যসখী।একসাথে কত কত মুহূর্তযাপন তাদের।সেজবিলের বিস্তীর্ণ প্রান্তর,বাওকুমটা বাতাসের মধ্য দিয়ে অন্তহীন ছুটে চলা,অন্তেবুড়ির বাটা থেকে চুরি করে আনা মজা গুয়া,শশীবালাদের দলের সাথে বৈরাতী ও কু