পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
আমার কবিতাজীব : নদীতে মিশে যাওয়া এক কান্নার জীবন ৩. খুব বহুমাত্রিক ও বর্ণময় এক বাল্যকাল কাটিয়েছি আমি। বিচিত্র সব জনমানুষের ভেতর ছড়িয়ে থাকা এক দাউদাউ জীবন আমার। আজও মানুষ দেখবার নেশা আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। আমার দেখাটাকে বরাবরই সজাগ রেখেছিলাম আমি। কত কত দেখা আমাদের! মানুষের বেঁচে থাকবার গল্পগুলির কাছে চুপ করে বসে থাকি। টুপটাপ শিশির ঝরে পড়তে থাকে খড়ের চালের গ্রাম্য বাড়িতে।শিশিরপাতেরও কিন্তু শব্দ হয়। কুয়াশা জড়িয়ে হেঁটে আসতেই থাকেন অগনণ মানুষেরা। আমি কোন এক হাটে দেখা পেয়েছিলাম ফুলচাঁদ বর্মণের।ফুলচাঁদ ছিলেন তেভাগা সৈনিক।লালপার্টির মিছিলে হেঁটে জেলে গিয়েছিলেন।জোতদারের লাঠিয়ালদের আঘাত তার শরীরে। পরে কোচবিহার রাজার শিকারবাহিনির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। এক পুরোন কালপরবের গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলাম তার কাছেই। ৪. আমার কবিতায় এসব এসে পড়ে অবধারিতভাবেই।মানুষের যাপন। দিনের পিঠে টপকে যাওয়া দিন কেমন ম্যাজিক হয়ে আছড়ে পড়ে।আমি একসময় লিখে ফেলি_ ‘রোদখুঁটিতে উঠে পড়ছেন গানমাষ্টার’ কিভাবে খিদে ঢুকে পড়ে। স্বপ্ন ঢুকে পড়ে। হাহাকার ঢুকে পড়ে আস্ত এক জীবনের ভেতর। নদীর চরে বালাবাড়ির কাশিয়া হলখল হলখল করে। কবি

চা পাতা ।।৫০

ছবি
চা পাতা সাপ্তাহিক ।। দ্বিতীয় বর্ষ।। সংখ্যা ৫০   কবিতা কি বা কেন ? এই জানার শেষ নেই। প্রতিটা প্রজন্ম এসে প্রতিটা দশকে কবিতাকে অন্য আঙ্গিকে সংজ্ঞায়িত করছে। কবিতা এক আমিকে অনেক আমিতে ভাগ করে আবার একটা সুতোতেই হাঁটছে। কবিতার এত ব্যখ্যা বিশ্লেষণ ভালো না অনেকসময়। বরং কবিতায় ডুবে থাকাই ভালো লাগে।  চা পাতা সাপ্তাহিক, যা অনলাইনে প্রকাশিত আসছে এক বছর ধরে। আজ তার ৫০ তম সংখ্যার প্রকাশ। ভীষণ ভালো পাঠক পেয়েছে  চা পাতা, অনেক ভালো লেখক পেয়েছে চা পাতা। ভুল করে করে শিখতে ভালো লাগে, পাশে থাকবেন সবাই। চা পাতা'র স্বাদ ও সুগন্ধে সাথি হয়ে।  সুদীপ্ত মাজি'র  কবিতা বসুন্ধরা রোড বহুদিন পর বসুন্ধরা রোড সমস্ত কুসুমস্মৃতি, জাগ্রত গানের রেণু, যাবতীয় জ্যোৎস্না-অভিলাষ টিনের তোরঙ্গে রাখা মায়া হঠাৎ রাস্তার পাশে এতদিন পরে আজ আলো জ্বলে  ওঠে  আঁ ধার ঘনায় তোমার ঠোঁটের পাশে অনির্বচনীয় স্বেদ, ছিঁড়ে যাওয়া জীবনের  গালগল্প, আলো দুজনের হাসিমুখ কতদিন পরে আজ এক ফ্রেমে আজ জেগে উঠলো, বল... বহুকাল পরে এই ধর্মসমন্বয়  সুবীর সরকার-এর কবিতা অপেরা হাউজ দ্যাখো,অপমানের পাশে এ
ছবি
১। কবিতাজীবন বলে কিছু হয় কি ! কবিতাযাপন বলে কিছু ! জানি না।বুঝি না।হয়তো হয়। গল্পের পাকে পাকে জড়িয়ে যাওয়া এক জীবনের মতো। আসলে এতগুলি বছর কবিতার সঙ্গেই তো কেটে গেল আমার !প্রায় ৩৫ বছর। আর ৫০ ছুঁয়ে ফেলবার পর খুব পেছন ফিরে পুরোন বইয়ের পৃষ্ঠা ওলটাতে ইচ্ছে করছে। কিভাবে শুরু হয়েছিল আমার জার্নি। এই উত্তরে বসেই তো কাজ করলাম এত এত বছর।প্রান্তে থেকেই আজ সামান্য কিছু পাঠক, কিছু স্বজন পেয়েছি আমি।পেয়েছি ঝকঝকে ও অসম্ভব তেজী তরুণ কবিদের।আর যাই করি, একটিও ভালো লেখা লিখে উঠতে না পারি; মাঝপথে পালিয়ে যাই নি।ডুবে ছিলাম ডুবে আছি আজও বাংলা কবিতার বর্ণময় ভূবনজোতে। ২। কবিতা লিখতে এসে কত অপমান সইতে হয়েছে। কত প্রতারণা,কত আঘাত। কত মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। নুতন মানুষরা তাদের ভালোবাসায় জড়িয়েও ধরেছে বারবার। আমি কখনো কেবল নিজেকে নিয়ে বাঁচতে চাইনি। সবাই মিলে চাঁদের আলোয় খামারবাড়ির উঠোনে সমবেত ভোজসভায় বসতে চেয়েছি। কোথাও জায়মানতা থাকে না।বিস্তার হারানো নদী নিজেই খুঁজে নেয় বিস্তার।নদীর পাড়ে পাড়ে শূণ্য প্রান্তরে আমি সারাজীবন শুনে গেলাম বাওকুমটা বাতাসের গান। তাই আজ সব লিখবো।সাদা লিখবো।কালো লিখবো। লিখে রাখাটা

চা পাতা।। ৪৯

ছবি
  মেদহীন কবিতা। আজকাল খুব শোনা যায় এই মেদহীন বা  নির্মেদ কবিতা শব্দটা। বেশি কথা, অপ্রয়োজনীয় কথা কবিতায় কাম্য নয়। আবার নির্মেদ করতে করতে হাড়গোড় বের করে ফেললেও ভালো লাগে না। ধরুন কবিতাটি যদি আপনার অবসরের বারান্দা হয় তবে সেখানে সামান্য অতিকথন যদি লতানো ফুলগাছের মতো গ্রিল বেয়ে উঠতে চায় উঠুক না, অসুবিধা কোথায়! খুব বেশি চালাকি করতে গিয়ে আমরা কবিতাকে হয়তো ধাধা বানিয়ে ফেলি। কবিতা কিন্তু ধাধা নয়। অহেতুক ঘুরিয়ে বলার বিষয়ও নয়। কবিতা হয়ত নিজেই নিজের ঈশ্বর,  বুকের ভেতরে আত্মার মতোই অজ্ঞাত এক বস্তু। অঞ্জন দাস -এর দুটি কবিতা প্রেমিকার ঘাম রোদ ভাঙা কাঁচ প্রতিরন্ধ্র জল তুলে নিলে তোমাকে শ্রাবণী লিখি ক্যাকটাস কবিতা সহজে সমাপ্ত নয় গর্ভস্থ পানি লালিত উপন্যাস জানি  সরলতা প্রান্ত  আঠালো বোঁটা অংশটুকু গলা গড়িয়ে  গানের ভাষারা বিন্দু ক্রমশঃজমাটী ভ্রমণ বিছিয়ে পড়ে আঁশপাতলা ছায়া ভেজে       বৈচিত্র্যে তুলিশিল্পীর চেয়েও শ্রেষ্ঠ ঘাম রোদ ভাঙ্গা কাঁচ প্রতিরন্ধ্র জল তুলে নিলে। গ্রীষ্মেই ফিরবো আবার সরলা স্রোতের গ্রামে সমস্ত উঁচুর পাশদিয়ে গড়িয়ে পড়বো খাদে আবর্ত ঘুর্নির